এক দশকে সামিট গ্রুপ বিদ্যুৎ না দিয়েই লুটে নিলো ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা

0

‘বিদ্যুৎ খাতে সাফল্যের চেয়ে লুটপাটই বেশী’। এটি ছিল বাংলাদেশে দৈনিক আমার দেশে-এর শীর্ষ সংবাদের শিরোনাম। প্রকাশিত হয়, ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি। এ রিপোর্টে টেন্ডারবিহীন রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের নামে বেপরোয়া লুটপাটের আয়োজন সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছিল আমার দেশ। তখন অনেকে ওই প্রতিবেদনের উদ্বেগ-আশংকাকে ‘বাড়াবাড়ি’ অভিহিত করেছিলেন। তার আগে ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল ‘বিনা টেন্ডারের তিন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গচ্চা যাবে ৭৩৫৮ কোটি টাকা’ শিরোনামে আমার দেশ-এ প্রকাশিত হয় আরেক প্রধান সংবাদ। তাতে তুলে ধরা হয়েছিল কিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের বন্দোবস্ত হচ্ছিল।

সে সময় সরকার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিল, রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ও বেসরকারি খাত থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয়ের চুক্তি সংকট মোকাবিলায় সাময়িক ব্যবস্থা। এর মধ্যে সরকার নিজস্ব মালিকানায় সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা করবে। ফলে বেসরকারি খাতের উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তিতে খুব বেশি ক্ষতি হবে না। কিন্তু ৮ বছরের মাথায় তথ্য পরিসংখ্যান বলছে, দলীয় লোকজনকে একের পর ভাড়ায় ও দেশের স্বার্থবিরোধী শর্তে বিদ্যুৎ কেন্দ্র বসাতে দিয়ে অবাধ লুটপাট চালানো হচ্ছে দশক ধরে। প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও দফায় দফায় চুক্তি নবায়ন করা হচ্ছে। এক সামিট গ্রুপই এক দশকে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে কথিত ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’ হিসেবে। এর মধ্যে সামিটের একক মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো নিয়েছে ৭ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। ইউনাইটেড গ্রুপের এর সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন খুলনা পাওয়ার কোম্পানি (কেপিসিএল)-এর অংশীদার হিসেবে আরও ১ হাজার ২১০ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে সামিট গ্রুপ। সর্বশেষ গত ২০১৯-২০ অর্থ বছরেই কোন বিদ্যুৎ না নিয়ে সামিটকে দিতে হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার বেশী। অথচ দশ বছর আগে দিতে হয়েছিল বছরে মাত্র ৬৩ কোটি টাকা।

এই বিপুল অর্থের বিনিময়েও সামিট গ্রুপকে জাতীয় গ্রিডে এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎও সরবরাহ করতে হয়নি। কেন্দ্র বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী উৎপাদন ক্ষমতা দেখিয়ে সমপরিমাণ বিদ্যুতের দাম হিসেবে এই অর্থ রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) থেকে এ অর্থ লুটে নিয়েছে। আবার নতুন জেনারেটর না বসিয়েও ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির মত অবিশ্বাস্য ঘটনাও ঘটছে সামিটসহ কোন কোন বিদ্যুৎ কোম্পানির ক্ষেত্রে। দশ বছরে সামিট গ্রুপ বিদ্যুৎ খাতের নিয়ন্ত্রকের আসনে বসেছে। আর জ্বালানী খাতে নজিরবিহীন দায়মুক্তি আইন পাশ করায় এ লুটের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার পথও আপাতত: রুদ্ধ করা হয়েছে।
৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বাইরে সামিট উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ বিক্রি করে মুনাফা করেছে আরও কয়েক হাজার কোটি টাকা। সামিট গ্রুপ শাসক দল আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান। এই সামিটসহ বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয় ও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে গিয়ে পিডিবি এখন দেউলিয়া প্রায়। শুধু পিডিবিই নয়, লুটের অর্থ যোগান দিতে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে গ্রাহকদের ওপর চালানো হচ্ছে নিষ্ঠুর শোষণ। দশ বছর আগের আড়াই টাকা ইউনিটের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের এখন কিনতে হচ্ছে ৬ থেকে ৮ টাকা দরে। এখন আবার বছরে যতবার খুশি দাম বাড়ানোর পথ সুগম করতে আইন সংশোধন করা হচ্ছে। সংসদের আগামী অধিবেশনে সংশোধিত আইন পাশ হলে বছরজুড়ে যখন খুশি মূল্যবৃদ্ধির নতুন খড়গ নেমে আসবে অসহায় গ্রাহকদের ওপর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাপাসিটি চার্জ বিদ্যুৎ খাতের জন্য বিরাট বোঝাস্বরূপ। কারণে-অকারণে কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন বন্ধ থাকলেও এ অর্থ গুনতে হচ্ছে পিডিবিকে। এমনকি বর্তমানে চাহিদা না থাকায় বছরের বেশিরভাগ সময়ই বসে থাকছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলো। এর পরও ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়মিতই পরিশোধ করতে হচ্ছে। এটা ¯স্রেফ লুটপাটের পর্যায়ে পড়ে।

অনুসন্ধানের দেখা যাচ্ছে, সরকারি আনুকূল্যে বেসরকারি খাতে বর্তমানে একক বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ। এ গ্রুপের একক মালিকানার ৮টি কেন্দ্রের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এক হাজার ৪৩৫ মেগাওয়াট, যা বেসরকারি খাতে স্থাপিত মোট উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় ১৭ শতাংশ। যদিও চাহিদা না থাকায় কেন্দ্রগুলো বছরের বড় সময়ই বসে থাকে। তবে দেশবিরোধী চুক্তির কারণে বেসরকারি খাতে নির্মিত এসব বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের জন্য নিয়মিতই ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হয় পিডিবিকে।

পিডিবি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য-পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এক দশকে সামিট গ্রুপের বিদ্যুৎ-কেন্দ্রগুলোর জন্য পিডিবিকে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বেসরকারি খাত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় ও ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে পিডিবির যে ব্যয় হয় তার ১৩ শতাংশই পায় সামিট। ক্যাপাসিটি চার্জের নামে যে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট চলছে তার শীর্ষে রয়েছে সামিট।
২০১০-১১ অর্থবছর মাত্র দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ছিল সামিট গ্রুপের। এগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা ছিল ১৩৫ মেগাওয়াট। এর একটি সামিট পূর্বাঞ্চল। গ্যাসচালিত এ কেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা ৩৩ মেগাওয়াট। আর ফার্নেস অয়েলচালিত সামিট নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রটির উৎপাদন সক্ষমতা ১০২ মেগাওয়াট। এ দুই কেন্দ্রের জন্য ওই অর্থবছরে পিডিবির ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয় মাত্র ৬৩ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

পরের দুই অর্থবছরও সামিটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রই উৎপাদনে ছিল। তবে উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্র দুটি থেকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ আয় বৃদ্ধি পায় সামিটের। এর মধ্যে ২০১১-১২ অর্থবছরে পিডিবিকে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয় ১৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৯৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এই সময়ে একের পর এক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নির্মাণ করে সরকারের সঙ্গে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি করতে থাকে সামিট। ২০১৩-১৪ বছরের শেষ দিকে মেঘনাঘাট কেন্দ্রের (২০৩ মেগাওয়াট) সিম্পল সাইকেল উৎপাদন শুরু করে। এতে ওই অর্থবছর সামিটের কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৩৩৮ মেগাওয়াট। আর সে বছর পিডিবিকে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয় ২০৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। তবে মেঘনাঘাট কেন্দ্রটি পরের অর্থবছর কম্বাইন্ড সাইকেলে ও পূর্ণ ক্ষমতায় উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দেয় সামিট।
২০১৪-১৫ অর্থবছর সামিট মেঘনাঘাট বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়ায় ৩৫৫ মেগাওয়াট। ডুয়েল ফুয়েল হলেও গ্যাসের সরবরাহ না থাকায় শুরু থেকেই এটি ডিজেলে চালানো হচ্ছিল। এছাড়া ওই অর্থবছর শেষ দিকে উৎপাদনে আসে ৩৪১ মেগাওয়াটের বিবিয়ানা-২ কেন্দ্রটি। যদিও গ্যাসচালিত এ কেন্দ্রটি পূর্ণোদ্যমে উৎপাদন শুরু করে পরের অর্থবছর। তবে ২০১৪-১৫ অর্থবছর সামিটের উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় ৮১১ মেগাওয়াটে। এর বিপরীতে পিডিবিকে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয় ৩৭১ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর পরের অর্থবছর মদনগঞ্জ ও বরিশালে সামিটের আরও দুটি কেন্দ্র উৎপাদনে আসে। এগুলোর সক্ষমতা ছিল যথাক্রমে ৫৫ ও ১০০ মেগাওয়াট। উভয় কেন্দ্রই ছিল ফার্নেস অয়েলচালিত। এতে ২০১৫-১৬ অর্থবছর সামিটের বিদ্যুৎ-কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮৬ মেগাওয়াট। আর ওই অর্থবছর পিডিবিকে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয় ৯১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

২০১৬-১৭ অর্থবছরও কোম্পানিটির উৎপাদন ক্ষমতা একই ছিল। তবে উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা বলে ওই বছর সামিটের ক্যাপাসিটি চার্জ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় এক হাজার ১০২ কোটি ৯ লাখ টাকা। পরের অর্থবছর উৎপাদন ক্ষমতায় যুক্ত হয় সামিটের গাজীপুর-২ কেন্দ্রটি। ফার্নেস অয়েলচালিত এ কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা ৩০০ মেগাওয়াট। এতে ২০১৭-১৮ অর্থবছর সামিটের বিদ্যুৎ-কেন্দ্রগুলোর ক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ২৮৬ মেগাওয়াট। ওই অর্থবছর ক্যাপাসিটি চার্জ কিছুটা কমে দাঁড়ায় এক হাজার ১০০ কোটি ২৩ লাখ টাকা।

এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উৎপাদন ক্ষমতায় যোগ করা হয় এসিই অ্যালায়েন্স কেন্দ্রটি। নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত ফার্নেস অয়েলচালিত এ কেন্দ্রটির উৎপাদন ক্ষমতা দেখানো হয় ১৪৯ মেগাওয়াট। এছাড়া জাতীয় গ্রিডে এলএনজি যুক্ত হওয়ার পর মেঘনাঘাট কেন্দ্রটিতে গ্যাসে উৎপাদন শুরুর কথা জানানো হয়। সে অর্থবছর সামিটের বিদ্যুৎ-কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৪৩৫ মেগাওয়াট। আর এসব কেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ পিডিবিকে পরিশোধ করতে হয় এক হাজার ৬৮৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

২০১৯-২০ অর্থবছরও সামিটের কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা একই ছিল। তবে এ সময় কেন্দ্রগুলো থেকে সামিটের আয় বেড়েছে। গত অর্থবছর সামিটের কেন্দ্রগুলোর জন্য এক হাজার ৮৫৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয় পিডিবিকে। অর্থাৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও গত অর্থবছর সামিটের ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর সব মিলিয়ে ১০ বছরে সামিট ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ পিডিবি থেকে নিয়েছে ৭ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা।

এদিকে সামিট ও ইউনাইটেড গ্রুপের যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল)। এই দুই ব্যবসায়ী গ্রুপের হাতে রয়েছে ৭০ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ার পুঁজিবাজারে।

এ কোম্পানির অধীনে পরিচালিত তিন বিদ্যুৎ-কেন্দ্রের সক্ষমতা ২৬৫ মেগাওয়াট। এগুলোর জন্য এক দশকে পিডিবিকে ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হয়েছে তিন হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। এখান থেকে অংশীদার হিসেবে ১ হাজার ২১০ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে পেয়েছে সামিট গ্রুপ। সব মিলিয়ে সামিট কোন বিদ্যুৎ না দিয়ে ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে ১০ বছরে নিয়েছে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

কারা এই সামিট গ্রুপ?

সামিট গ্রুপের রেজিস্টার্ড অফিস ঢাকা এবং সিঙ্গাপুরে। কোম্পানিটির মালিকানায় রয়েছেন বর্তমান শাসক পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ। সামিট গ্রুপের মালিকানায় থাকা ব্যক্তিদের বাড়িও প্রধানমন্ত্রীর নিজ জেলা গোপালগঞ্জে। ক্ষমতাসীন শাসক পরিবারের সাথে সামিট গ্রুপের অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও বাংলাদেশে গুজব রয়েছে।
সামিট গ্রুপের খান ভাইদের মধ্যে সবার বড় কর্নেল অব ফারুক খান। এই ফারুক খান আওয়ামী লীগের নেতা ও সরকারের এমপি। এর আগে তিনি শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রিত্বও করেছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com