মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের কুলিয়া গ্রামে মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
এই ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। পরিবারটি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ঘটনাটি ঘটে গত ২৩ আগস্ট (রবিবার) সন্ধ্যার আগে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমির হামজা জানান, মাদক বিক্রি ও বখাটেপনার প্রতিবাদ করায় তাদের পরিবারের ওপর হামলা হয়। হামলায় তার মা আফরোজা বেগম, বাবা মুনতাজ আলী, বড় ভাই হাসিবুর রহমান, বোন রাবেয়া ও তিনি আহত হন। তার মা এখনো হাসপাতালে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে কয়েকটি দোকান ও একটি পরিত্যক্ত বাড়ি রয়েছে। এসব দোকানে রাত-দিন বখাটেদের আড্ডা চলে। আর পরিত্যক্ত বাড়িতে বসে মাদকসেবীদের আড্ডা। আমরা এসবের প্রতিবাদ করি। বছর দুই আগে তৎকালীন ইউএনও জাহিদুল ইসলামকে এই বিষয়ে জানানোর পর তিনি আড্ডা বন্ধ করে দেন। তখন থেকে প্রতিপক্ষ আমাদের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত। ইউএনও বদলি হলে তারা প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ খোঁজে। এরই জেরে গত ২২ আগস্ট দুপুরে বাড়ির কাছে আমার ছোট ভাই নাইমকে প্রতিপক্ষের বখাটেরা মারধর করে। ওই দিন বিকেলে ঝিকরগাছা থানায় জানানো হয়। এর পরদিন রবিবার সন্ধ্যার আগে এলাকার আদম, বাবু, হাবু, রিমন, বকতিয়ার, রোকন, আকাশসহ ২০-২৫ জন আমাদের বাড়িতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। তারা আমার মা, বাবা, বোন, বড় ভাই ও আমাকে বেদম পিটিয়েছে। আমার মায়ের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় মা ও বড় ভাই হাসিবুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ। মায়ের সুচিকিৎসা করাতে পারছি না। আমি আমার মায়ের ওপর হামলার বিচার এবং মায়ের সুচিকিৎসা চাই।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে। এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে আটক করা হয়েছে।