স্বাস্থ্য খাতেরই স্বাস্থ্য ভালো নেই চোর-মহাচোরদের কারণে
স্বাস্থ্য খাতেরই স্বাস্থ্য ভালো নেই চোর-মহাচোরদের কারণে। এ খাতে কতটা লুটপাটের ঘটনা ঘটছে তার প্রতিকৃতি মাত্র ৩০ হাজার টাকা বেতনের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবজালের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা পাচার ও অবৈধভাবে ৩৭ কোটি টাকার ভোগদখলের অভিযোগ। এ ব্যাপারে দুদকের দুটি মামলায় তাকে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। আমাদের এ যুগে ৩০ হাজার টাকা বেতনের একজন কর্মচারীর পক্ষে সংসার চালাতে নুন আনতে পানতা ফুরানোর মতো অবস্থা হওয়ার কথা। কিন্তু চোট্টাকুলধিপতি আবজাল আলাদিনের চেরাগসম সে চাকরির বদৌলতে হ্যারিয়ার ব্র্যান্ডের গাড়িতে চড়ার ক্ষমতা অর্জন করেছিলেন। ঢাকায় তার এবং স্ত্রীর নামে বাড়ি আছে পাঁচটি। বাড়ি আছে অস্ট্রেলিয়ার মেগাসিটি সিডনিতে। রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় তার রয়েছে ২৪টি প্লট ও ফ্ল্যাট। স্বাস্থ্য খাতে আবজালের সংখ্যা দু-এক জন নয়, অনেক। এ খাত মিঠু সাহেদ সাবরিনার মতো তস্কর সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে। চিকিৎসাকে দেশবাসীর মৌলিক অধিকার হিসেবে মূল্যায়ন করেছিলেন আমাদের স্বাধীনতাসংগ্রামীরা। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের সংবিধানে সে মৌলিক অধিকার রক্ষায় গুরুত্ব দেওয়া হয়। গত ৪৯ বছরে যে সরকারই ক্ষমতায় এসেছে স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কিন্তু এখন স্বাস্থ্য অধিদফতরে চোর-বাটপাড়দের আস্তানা গড়ে ওঠায় তা জনকল্যাণের বদলে লুটেরা চক্রের আত্মকল্যাণে কাজে লেগেছে। স্বাস্থ্য খাতের স্বাস্থ্য এতটাই কর্কটরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে যে তা নিজেই সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। স্বাস্থ্য খাত পরিণত হয়েছে জাতীয় লজ্জা ও অপমানের উৎসে।