হাসপাতালে অভিযানে বিরত থাকার চিঠির বৈধতা নিয়ে রুল
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অনুমতি ছাড়া অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দেওয়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট।
ওই চিঠি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জে করা একটি রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের দুই সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইন সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিকুল ইসলামের পক্ষে এ রিট আবেদনটি করা হয়।
আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।
ইয়াদিয়া জামান বলেন, ‘শুনানিতে বলেছি, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের সংবিধান, প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। আদালত রুল দিয়েছেন।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত জানান, আদালত রুল জারি করলেও এটির কার্যকারিতা স্থগিত করেননি। ফলে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব বরাবরে গত ৪ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, করোনা মহামারীতে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সদস্যরা নানা বিষয়ে অভিযান করছেন। একটি হাসপাতালে একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করাতে হাসপাতালগুলোর স্বাভাবিক চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং এ কারণে স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক ধরনের চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সার্বিক কার্যক্রম পরিবীক্ষণ করার জন্য একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে, যেখানে জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাও সদস্য হিসেবে আছেন। তাই ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তা করা যাবে।
যেকোনো সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকা এবং জরুরি অভিযান পরিচালনার প্রয়োজন হলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনার করার অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।