ওসি প্রদীপ-ইন্সপেক্টর লিয়াকতের মানবপাচার বাণিজ্য
টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মানবপাচারের পৃষ্ঠপোষকতায়ও ছিলেন, ওসি প্রদীপ, ইন্সপেক্টর লিয়াকতসহ স্থানীয় পুলিশের কিছু সদস্য। জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে নিয়ে নির্বিঘ্নে যেতে দিতেন যাত্রীবোঝাই নৌকা। মানবপাচার রোধে অভিযান চললে, শুরু হতো আরেক বাণিজ্য। হুমকি-ধমকি দিয়ে আদায় করতো, লাখ লাখ টাকা।
টেকনাফের নোয়াখালীপাড়া ঘাট। কক্সবাজার থেকে নাফ নদী ও সাগরপথে মানবপাচারের তেত্রিশটি ঘাটের অন্যতম এটি।
অনুসন্ধান বলছে, দালালদের পাশাপাশি এই কার্যক্রমে জড়িত পুলিশের কেউ কেউ। তার অন্যতম, সিনহা রাশেদ হত্যার প্রধান আসামি, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলী।
নৌকার মাঝিরা জানান, উপকূল থেকে ছোট নৌকায় যাত্রীদের তুলে দেয়া হয় সাগরে অবস্থান করা বড় নৌযানে। এজন্য জনপ্রতি দুই হাজার টাকা যায় পুলিশের পকেটে আর এক হাজার করে পান নৌকার মালিক-মাঝি।
মানবপাচার রোধে অভিযান চললে শুরু হয় নতুন বাণিজ্য। নৌকা, জাল পুড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি কথিত বন্দুকযুদ্ধের হুমকি দিয়ে আদায় হয় লাখ লাখ টাকা। অভিযোগ, দাবি করা ৫ লাখ টাকা না পেয়ে গত এপ্রিলে বন্দুকযুদ্ধে মারা হয় নোয়াখালী পাড়ার আবদুস সালাম মাঝিকে। ভেঙ্গে দেয়া হয় তার বাড়ি। এ ঘটনায়ও অভিযোগ লিয়াকত আর টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে।
নাগরিক সমাজও বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের সম্পৃক্ততা বা অবৈধ বাণিজ্যের কারণেই বন্ধ হয়না মানবপাচার।