ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের শীর্ষ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক
আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) চক্রের প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যানসহ শীর্ষ কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সংস্থাটি।
রোববার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।
তলবকরা ব্যক্তিদের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হাসেম ও পরিচালক নাসিম আনোয়ার দুদকে উপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া একই প্রতিষ্ঠানের অপর দুই পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জী ও মোহাম্মদ আবুল হাশেমকেও আজ (রোববার) জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। গত ১৬ আগস্ট মোট ৮ জনকে তলব করে দুদক।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হল ইন্টারন্যাশনালের তিন পরিচালক ও এমডিসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। গত ১০ আগস্ট পি কে হালদারসহ ৫ জনকে তলব করেছিল দুদক। যদিও পি কে হালদার অনেক আগেই দেশ থেকে পালিয়েছেন।
এর আগে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পি কে হালদার ও তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিসহ ৮৩ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ হয়।
অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদার ওই প্রতিষ্ঠানসহ পিপলস লিজিং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানির (বিআইএফসি) দায়িত্ব পালন করে প্রায় ৩৬০০ কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচার করেছেন।
এরই মধ্যে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ওই এজাহারে প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার স্বার্থ–সংশ্লিষ্টদের ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকার লেনদেনের বিষয়ে তথ্য ছিল।