স্কুলছাত্রকে অস্ত্র-ডাকাতি মামলায় ‘ফাঁসানোয়’ ওসির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ
ফেনীতে নবম শ্রেণির ছাত্র হাবিব উল্যা সুজনকে অস্ত্র ও ডাকাতি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সোনাগাজী থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে এবার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হয়েছেন তার মা খতিজা বেগম।
গত তিন বছর আগে দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না পেয়ে খতিজা তার স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে ফাঁসানোর অভিযোগে বিচার চেয়ে তৎকালীন ফেনীর পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকারের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
অভিযোগটির তদন্ত না করায় তিনি বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর বরাবর ই-মেইল ও রেজিস্টার্ড ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খতিজা বেগম বলেন, শনিবার পুলিশ সদর দপ্তরের মোবাইলে ফোন করলে তারা অভিযোগটি পেয়েছে বলে জানিয়েছে।
সুজন সোনাগাজী উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরছান্দিয়া গ্রামের মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় ওলামাবাজার হাজী সেকান্তর মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত সুজনকে ২০১৭ সালের ২১ মে দুপুরে স্কুল গেইট থেকে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
পরদিন রাতে উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের একটি ব্রিকফিল্ডের কাছে ডাকাতির সময় অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে সুজন ও সাইফুল নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
লিখিত অভিযোগে খতিজা বেগম বলেন, দুই লাখ টাকা দাবিকৃত টাকা না পেয়ে ওসি হুমায়ুন তার ছেলে সুজনকে স্কুল গেইটে কয়েকশ’ মানুষের সামনে আটক করে নিয়ে যায়। পরে তার ছেলেকে অস্ত্র ও ডাকাতির মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।
তিনি বলেন, ‘কয়েকজন সাংবাদিক ওসি হুমায়ুনের কাছে ফোন করলে তিনি সুজনকে অস্ত্র ও ডাকাতি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ফেইসবুকে তার স্বীকারোক্তির অডিও প্রচারিত হওয়ার পর ওসি তার বাড়িতে গিয়ে ভুল স্বীকার করে চার্জশিট থেকে সুজনকে অব্যাহতি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘটনার বিষয়ে কারও কাছে মুখ না খুলতে অনুরোধ জানান।’
খতিজা বেগম বলেন, তিনি তার কথায় আশ্বস্ত না হয়ে গত ২০১৭ সালের ২৫ মে সশরীরে হাজির হয়ে ফেনীর তৎকালীন পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকারের কাছে প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে তিনি জানতে পারেন তড়িঘড়ি করে মামলা দায়েরের ১০ দিনের মধ্যে তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়।