৭১ শতাংশ হাসপাতালে নিম্নমানের নিরাপত্তা সামগ্রী: টিআইবি
৭১ শতাংশ হাসপাতালে নিম্নমানের নিরাপত্তা সামগ্রী সরবরাহের কারণে চিকিৎস সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ সোমবার ‘করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবেলায় সুশাসনের চ্যালেঞ্জ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ’ ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি এ কথা জানায়।
প্রদিবেদনে বলা হয়, দেশের ৮৬ শতাংশ নার্সের করোনা ভাইরাস সংক্রম রোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক ‘আইপিসি’ প্রশিক্ষণ নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ৭৪ দশমিক ৫০ শতাংশ দক্ষ জনবল এবং ৫৯ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণের ঘাটতি রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, গবেষণার অন্তর্ভুক্ত ৪৭ হাসপাতালের ২২ দশমিক ২০ শতাংশের সকল স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। শুধু চিকিৎসক ও নার্স প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ২০ শতাংশ হাসপাতালের। শুধু চিকিৎসক প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ২০ শতাংশ হাসপাতালের। শুধুমাত্র কোভিড-১৯ এর জন্য ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ হাসপাতালের নির্ধারিত কর্মীরা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ।
এছাড়া অল্প সংখ্যক কর্মী ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ হাসপাতালে, অল্প সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ হাসপাতালে, একজন করে চিকিৎসক ৬ দশমিক ৭০ শতাংশ হাসপাতালে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। অন্যদিকে কেউ প্রশিক্ষণ পাননি ২ দশমিক ২০ শতাংশ হাসপাতালে।
প্রতিবেদন উপস্থাপন শেষে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কথা বলছেন। তারপরও তাদের বিচার হচ্ছে না। তারা কী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকেও বেশি শক্তিশালী? তিনি বলেন, অনিয়ম দুর্নীতি নতুন কিছু না। তবে মাঠ পর্যায়ে দেখেছি জনপ্রতিনিধিরা দুর্নীতি করছেন। তাদের কোন বিচার হচ্ছে না। তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। বরখাস্ত শেষে তারা আবার যোগ দিচ্ছেন।