ঢাকার কোন এলাকা কোন জোন
করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের প্রায় অর্ধেকই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা। বাংলাদেশে ৮ মার্চে প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর থেকে রাজধানী ঢাকাই হয়ে উঠেছে করোনার হটস্পট, এখনো তাই রয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ তত্ত্ব রোগ নির্ণয় ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) হিসাব মতে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শুধুমাত্র রাজধানীতেই রয়েছে মোট আক্রান্তের ৪৮.৬৮ শতাংশ।
আইইডিসিআর-এর তথ্য অনুযায়ী, ৮ জুন পর্যন্ত সারা দেশে করোনা আক্রান্ত ছিল ৬৮ হাজার ৫০৪ জন। সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর এবং করোনায় মৃত্যুর পর গত ৮ জুন পর্যন্ত সারা দেশে করোনা আক্রান্ত ছিল ৪৩ হাজার ৪৬৪ জন। এর মধ্যে রাজধানীতেই ছিল মোট আক্রান্তের ৪৮.৬৪ শতাংশ। অর্থাৎ রাজধানীতে মোট আক্রান্ত ছিল ২১ হাজার ১৪০ জন।
করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যার তারতম্য অনুযায়ী ঢাকার বিভিন্ন এলাকাকে লাল, হলুদ ও গ্রীন জোন হিসেবে ভাগ করা হয়েছে।
আক্রান্তের সংখ্যা বেশি থাকায় ঢাকার নিম্নোক্ত এলাকাগুলো লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে- মিরপুর, মহাখালী, উত্তরা, মুগদা, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী, কাকরাইল, ধানমন্ডি, মগবাজার, তেজগাঁও, রাজারবাগ, খিলগাও ও লালবাগ।
এছাড়া হলুদ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে- গুলশান, গেন্ডারিয়া, ওয়ারী, বাসাবো, বংশাল, আগারগাঁও, হাজারীবাগ, শাহবাগ, শ্যামলী, আজিমপুর, বনানী, মিরপুর-১, শের-ই-বাংলা রগন, চকবাজার, মিরপুর-১২, রমনা, আদাবর, শান্তিনগর, বসুন্ধরা ও ইস্কাটন এলাকাকে।
আর গ্রীন জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে- জুরাইন, স্বামীবাগ, পল্টন, গ্রিনরোড, নয়াবাজার, কলাবাগান, ডেমরা, মিরপুর-১১ কামরাঙ্গির চর, কল্যাণপুর, ফার্মগেট ও লালমাটিয়া এলাকাকে।