বাজেটে ট্যাক্সের বোঝা বাড়ানো ঠিক হবে না
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে এবারের বাজেট গতানুগতিক হওয়া ঠিক হবে না। এবারে বাজেট হওয়া উচিত গতানুগতিক বাজেটের বাহিরে। একটা অ্যাকশন প্ল্যানের মত। এবার বাজেটে ফোকাস থাকতে হবে প্রথমত বহির্খাত ও অভ্যন্তরীণ খাতের শকটাকে কাটিয়ে উঠা। দ্বিতীয়ত আমাদের কৃষি খাতে সর্বচ্চ সাপোর্ট দেয়া। তৃতীয়ত হচ্ছে স্বাস্থ্য খাতে সর্বোচ্চ সাপোর্ট দেয়া। আর চতুর্থ হচ্ছে সুরক্ষা খাত। তিনি বলেন, আগামী এক বছরেও করোনা ভাইরাসের প্রভাব কাটবেনা।
এই বাজেটে গত বছরের যেগুলো জরুরি কাজ অসম্পূর্ণ আছে সেগুলো শেষ করবে। আর ব্যাংকিং সেক্টরের কিছুটা পুর্নগঠন করতে হবে। কারণ করোনা ভাইরাসের কারনে যে প্যাকেজ ঘোষনা করা হয়েছে তা সব ব্যাংক নির্ভর প্যাকেজ। এবং পুজিবাজারের কিছুটা পুনর্গঠন করে অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমে কিভাবে ঘাটতি পূরণ করা যায় কিভাবে রাজস্ব আয় বাড়বে সেটা করতে হবে। এবারের বাজেটে ট্যাক্্েরর বোঝা বাড়ানো ঠিক হবেনা। ট্যাক্সের বোঝা না বাড়িয়ে নেটটা বাড়ানো অর্থাৎ ট্যাক্সের জালটা বিস্তার করতে হবে। বহির্ঘাতে আমাদের যে চ্যালেঞ্জ তা হলো আমাদের রেমিটেন্স কমে গেছে। রপ্তানি খাতে বাজেটে সব সময় বেশী প্রনোদনা দেয়া হয়ে থাকে পোষাক শিল্পে এটা সব সময় ভূল হচ্ছে অনেক আগে থেকেই বলা হচ্ছে। পোশাক শিল্প মালিকরা ম্যানুপুলেট করে এসব আদায় করছে। সেই সঙ্গে আমদানির খাতে ভোগ্যপণ্য বা অপ্রয়োজনীয় জিনিষ বা মেশিন আনার নামে অনেক ঋন দেওয়া হয়ে থাকে। যেহেতু ফ্যাক্টরি তো ভালো চলছে না তাহলে নতুন মেশিন এনে কি হবে।এবার বাজেটে এসব খাতে সাশ্রয় করতে হবে। করোনার কারনে আমাদের অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পগুলো। এগুলো তো সাফার করছে। এবার বাজেটে আমাদের দেশীয় চ্যালেঞ্জগুলো আছে সেগুলোকে ফোকাস করতে হবে। দারিদ্র বিমোচন করতে হলে এখাতে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ করোনার প্রভাবে দারিদ্রতা বেড়ে যাচ্ছে এবং আয় ও সম্পদের বন্টন আরো খারাপ হচ্ছে। বাংলাদেশের আরেকটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কর্মসংস্থান। বহির্বিশ্বের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক কাজ করে। এদের বেশির ভাগই অদক্ষ। এর মধ্যে ছাটাই শুরু হয়ে গেছে । অনেক শ্রমিকদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সামনে আরো দেশে ফিরবে। অন্যদিকে দেশেও অনেকে চাকুরি হারাবে। বেকারের সংখ্য বেড়ে যাবে। এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা একট বড় চ্যালেঞ্জ। এবারে বাজেটে এ বিষয়টিও গুরুত্ব দিতে হবে।