সড়ক নয় যেন খাল, আট বছরেও হয়নি সংস্কার
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ মুক্তারপুর এলাকায় বড় বড় কয়েকটি গর্তে পানি জমে আছে। এর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। কখনও কখনও গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে যায়। দেখে মনে হয় সড়ক নয়, যেন খাল। নারায়ণগঞ্জের শিল্পনগরী বিসিক এলাকার সড়কের একই অবস্থা। এই সড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল একেবারেই অনুপযোগী।
বৃষ্টির পানি জমে সড়কে শতাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন সড়কের গর্তে পড়ে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান উল্টো যায়। প্রতিদিনই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে ছোট-বড় যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ যাতায়াতের পথে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। শুরু হয় ভোগান্তি।
মঙ্গলবার (০৯ জুন) দুপুরে এই সড়কে সরেজমিনে এমন দৃশ্য দেখা যায়। মঙ্গলবার সকালে ফতুল্লার বিসিকের সড়কে একটি ট্রাক উল্টে যায়। এতে প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে যানজট লেগে যায়। শুধু যানবাহন নয়, যানজটে শিল্পনগরীর ওপর দিয়ে যাতায়াতকারীরা দুর্ভোগে পড়েন।
গত ডিসেম্বর মাসে সেতু বিভাগ সড়কটিতে ছয় কিলোমিটার ফ্লাইওভার নির্মাণ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও সড়ক সংস্কার কিংবা ফ্লাইওভার নির্মাণ হয়নি। ফলে সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফতুল্লার পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়কটি সেতু বিভাগের অধীন। দীর্ঘ আট বছরেও সড়কটি সংস্কার হয়নি। ফলে সড়ক এখন খালে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের ওপর বড় বড় গর্ত। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কের পিচ, ইট, খোয়া উঠে এসব গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে কাদা জমে এখন জলাশয়ে রূপ নিয়েছে। সড়ক দেখে বোঝার উপায় নেই; কোথায় গর্ত আছে আর কোথায় নেই। পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর পর্যন্ত সড়কে অন্তত শতাধিক গর্ত রয়েছে। এসব গর্তে পড়ে বিকল হচ্ছে যানবাহন। সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট।
সরেজমিনে আরও দেখা যায়, ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকায় একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়ে আছে। বিভিন্ন স্থানে অটোরিকশা গর্তে পড়ে নষ্ট হয়ে রয়েছে। পথচারীদের অনেকেই গর্তে পড়ে আহত হন।
আক্ষেপ করে বিসিক শিল্প অঞ্চলের ক্রোনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএইচ আসলাম সানি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বেহাল দশা। সড়ক দিয়ে প্রায় চার লাখ শ্রমিক যাতায়াত করেন। শ্রমিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো যে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে; তার বিনিময়ে এই সড়কের পাশে বাগান হওয়া দরকার ছিল। কিন্তু এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। এখন প্রতিদিন সড়কে যানবাহন দুর্ঘটনার শিকার হয়।