করোনামুক্ত স্ত্রীকে নিয়ে বাসায় ফিরলেন কাউন্সিলর খোরশেদ
করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা।
শনিবার (০৬ জুন) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে স্কয়ার হাসপাতাল থেকে লুনাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।
তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে আমার স্ত্রী লুনা স্কয়ার হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়েছেন। আপাতত আরও এক সপ্তাহ ঢাকায় তার মায়ের বাসায় থাকবেন লুনা। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য এবং আমার নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকায় থাকবেন লুনা। আমাদের বিপদকালীন আপনাদের দোয়া, সহানুভূতির জন্য আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। একই সঙ্গে সবার সুস্থতা কামনা করছি আমরা।
এর অগে শুক্রবার (০৫ জুন) কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনার করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসে। পাশাপাশি কাউন্সিলর খোরশেদের করোনা পজিটিভ আসে। তবে শুক্রবার করোনা নিয়েই নারায়ণগঞ্জের বাসায় ফিরে যান খোরশেদ। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হন। স্ত্রীর পর খোরশেদও করোনায় আক্রান্ত হন।
৩০ মে খোরশেদের স্ত্রীর অবস্থার অবনতি হলে কাঁচপুরের সাজেদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্ত্রী লুনার জন্য আইসিইউ সাপোর্ট পেতে ওই দিন থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন খোরশেদ। সাজেদা হাসপাতালে থাকা অবস্থায় তাদের খোঁজখবর রেখেছেন এমপি শামীম ওসমান। পরে লুনার অবস্থার অবনতি হলে শামীম ওসমানের সহায়তায় স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই সঙ্গে খোরশেদকেও সেখানে ভর্তি করা হয়।
করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফন করতে গিয়ে ৩০ মে করোনায় আক্রান্ত হন খোরশেদ। খোরশেদ করোনায় আক্রান্ত হলেও তার টিম সক্রিয় ছিল। টিমের লোকজন করোনায় মৃতদের দাফন করেছেন।