মানুষ স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের শিকার
খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বাংলাদেশে ধনীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার বিশ্বে সর্বোচ্চ। আর এই দেশেরই কয়েক কোটি মানুষ অনাহারে বিনা চিকিৎসায় বিপর্যস্ত। রাজধানী ঢাকা এখন বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত নগরী। নদী বন বিনাশে কোটি কোটি মানুষ স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের শিকার। এই সবগুলোই পরস্পর সম্পর্কিত। যে সরকারের নাকের ডগায় রাজধানী বিষাক্ত, নদী নর্দমায় পরিণত হচ্ছে, সেই সরকার জেনেবুঝে সুন্দরবনের ওপর বিষ ঢেলে দিয়ে বলছে, কোনো ক্ষতি হবে না। আমরা কয়লা ও পারমাণবিক কেন্দ্র বাতিল করে উন্নয়নের নতুন গতিমুখের জন্য যে আন্দোলন করছি, তা এখন সারা বিশ্বেরই গন্তব্য।
গতকাল তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির যুক্তরাজ্য শাখার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন সংগঠনটির সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ। সংগঠনটির যুক্তরাজ্য কমিটির আহ্বায়ক ড. কিউ এম রহমানের সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জাতীয় কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, জহিরুল ইসলাম এবং ইউরোপীয় কমিটির সমন্বয়ক মোস্তফা ফারুক। যুক্তরাজ্য শাখার সদস্য সচিব ড. আখতার সোবহান মাশরুর, সদস্য রফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, নিসার আহমদ, ওয়ালিউর রহমান প্রমুখ।
ওই সভায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আনু মুহাম্মদ বলেন, করোনা বিপর্যয়ের পর বিশ্বজুড়ে উন্নয়ন সম্পর্কে নয়া উপলব্ধি হচ্ছে যে, উন্নয়ন ও ভোগের বর্তমান ধারা বিশ্বের মানুষের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনছে। প্রাণবিনাশী মারণাস্ত্র আর জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর উন্নয়ন ধারা পরিবর্তন করে পরিবেশবান্ধব কৃষি ও শিল্পের বিকাশ করতে হবে। প্রাণ প্রকৃতি ও মানুষের জন্য অনুকূল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তোলাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, বুলবুল চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে সুন্দরবন বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য অপরিহার্য। অথচ সরকার রামপালসহ উপকূলজুড়ে প্রাণবিনাশী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং দেশবিনাশী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।