করোনায় মনোবল ইতিবাচক রাখতে নামাজ ও মেডিটেশনের বিকল্প নেই: ডাঃ শাহাদাত
লকডাউনের কারণে গৃহবন্দি জীবনযাপনের ফলে ও করোনার কারণে আশেপাশে খারাপ খবর দেখে দেখতে মানসিক চাপে ভুগছেন অনেকেই। এই করোনা পরিস্থিতি কমবেশি মানসিক চাপ ফেলছে সবার উপরেই এবং এই পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে পড়া স্বাভাবিক। করোনা যতটা না শারিরীক ব্যাধি, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে এটি একটি মানসিক ব্যাধি হয়েও দাড়িয়েছে। আর এই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার একটি উত্তম উপায় হচ্ছে নামাজ বা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা ও মেডিটেশন।
আমরা জানি, যেই মানসিক চাপগুলো আমাদের দৈনন্দিনের জীবনে তৈরি হয়, তা থেকে নামাজ মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেয়। পাশাপাশি নামাজের তাগিদে মনও খারাপ চিন্তা থেকে বিরত থাকে। অন্তত নামাজ আদায়রত সময়টুকু মানুষ ভালো চিন্তায় নিমগ্ন থাকে। এভাবে মন থাকে রোগমুক্ত। নামাজ মনকে ভালো কাজে নিবিষ্ট রাখে, শরীর ও মনকে চালিত করে সুপথে। সকল প্রকার পাপ, অন্যায় ও অশ্লীলতা থেকে নামাজ নিশ্চিত সুরক্ষা দেয়।
লকডাউনের কারণে মনের মধ্যে যে স্থবিরতা এবং অবসাদগ্রস্ততা অনুভূত হচ্ছে, নামাজ আদায় করলে অতিরিক্ত অবসাদগ্রস্ততা, অবচেতন অনুভূতি, মানসিক চাপ ও অস্থিরতা কমে যায়। নামাজ আদায়ের ফলে আত্মিক ও দৈহিক প্রশান্তি লাভ হয়। শুধু তাই নয়, নামাজ মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আত্মিক পবিত্রতা সাধনের অনন্য হাতিয়ার। এছাড়াও, রিসার্চে দেখা গিয়েছে নামাজ ও মেডিটেশনে স্ট্রেস কমে, টেনশন দূর হয়, ও মনে প্রশান্তি আসে। এবং নিয়মিত মেডিটেশন করলে ভবিষ্যতে ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হওয়ার চান্সও কমে যায় অনেকগুণ। মানসিক স্বাস্থ্যে মেডিটেশনের ইতিবাচক প্রভাব এখন বিশ্বজুড়ে প্রমাণিত।
তাই, এই রমজান মাসে আমরা বেশী বেশী নামাজ আদায় করি। অন্য ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনেরা নিজ নিজ প্রার্থনায় মগ্ন হই। নামাজ, প্রার্থনা ও মেডিটেশনই পারে এই করোনা সঙ্কটে আমাদের মনবলকে ইতিবাচক রাখতে।