বাংলাদেশে করোনাভাইরাস পরীক্ষার হার বিশ্বে সর্বনিম্ন

0

বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে বলেছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ টেস্ট না করা হলে অবস্থার আসল চিত্র উঠে আসবে না

বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার বিপরীতে অত্যন্ত কম পরিমাণে করোনাভাইরাস শনাক্ত পরীক্ষা (টেস্ট) করা হচ্ছে বাংলাদেশে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্যানুযায়ী, গড়ে প্রায় এক লাখ ৪শ’ ৯৯জনের মধ্যে সন্দেহভাজন আক্রান্ত হিসেবে একজনকে টেস্ট করা হচ্ছে।

এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলে দিয়েছেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ টেস্ট না করা হলে এই মহামারি বন্ধ করা সম্ভব হবে না। কারণ টেস্ট না করা হলে অবস্থার আসল চিত্র উঠে আসবে না।

যেখানে বাংলাদেশ লাখে মাত্র ১ জনের টেস্ট করছে, সেখানে অন্যান্য দেশে এই অনুপাত অনেক গুণ বেশি। কোনো কোনো দেশে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে এক হাজার জনকে টেস্ট করা হচ্ছে।

গত ১৬ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ডিরেক্টর জেনারেল ড. টেড্রোস অ্যাডহানোম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, “আপনি চোখ বেঁধে আগুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবেন না। তেমনি কে বা কারা আক্রান্ত তা না জেনে আমরা এই মহামারিকে বন্ধ করতে পারব না। সবগুলো দেশের প্রতি আমাদের সহজ বার্তা হলো- টেস্ট, টেস্ট, টেস্ট। প্রত্যেক সন্দেহভাজন আক্রান্তকে টেস্ট করুন।”

তবে, আইইডিসিআর-এর তথ্যানুযায়ী ১৬ কোটিরও বেশি জনসংখ্যার এই দেশে এখন পর্যন্ত ১,৬০২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সন্দেহভাজন আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীর থেকে।

গতমাসে দেশে তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ৮ মার্চ থেকে শুরু হওয়া টেস্টে প্রতিদিন গড়ে করা হয়েছে ৬৭টি টেস্ট।

জনসংখ্যা তো বটেই দেশব্যাপী কোয়ারেন্টিনে থাকা ব্যক্তিদের বিপরীতেও এই সংখ্যা অত্যন্ত কম। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশব্যাপী কোয়ারেন্টিনে ছিলেন ৬০ হাজার ১৫ জন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com