কলকাতার পর হিমাচল, করোনায় মৃত্যু বাড়ছে ভারতে
ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। মোট আক্রান্ত ৪৬৭ জন। এর মধ্যে ৩৪ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সোমবার ভারতের মধ্যে দিনের প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতায় মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়। খবর এই সময়ের।
তার রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতের হিমাচলপ্রদেশ থেকে এ দিনের দ্বিতীয় মৃত্যুর দুঃসংবাদ পাওয়া যায়। জানা গেছে, হিমাচলের তান্ডার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এক তিব্বতী শরণার্থী। দিন কয়েক আগে আমেরিকা থেকে ফিরেছিলেন তিনি। এ দিন তার মৃত্যু হয়েছে। যার জেরে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া গুজরাট, বিহার, মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।ভারতে করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে একের পর এক রাজ্য। এই মুহূর্তে দেশের ১৯ রাজ্যে জারি লকডাউন। তারপরেও সাধারণ মানুষের মধ্যে লকডাউন ভাঙার প্রবণতা দেখা দেওয়ায় পাঞ্জাবের পর মহারাষ্ট্রেও জারি হয়েছে কারফিউ।
সোমবার লকডাউন না মানলে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে রাজ্যগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, লকডাউন নিয়ে প্রশাসনের যাবতীয় নির্দেশিকা যে মানা হচ্ছে, তা নিশ্চিত করতে হবে সব রাজ্য সরকারকে।
যদিও এই মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে শুধুমাত্র সমাজকে লকডাউন করাই যথেষ্ট কি-না, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র (ডব্লিউএইচও) কার্যনির্বাহী ডিরেক্টর মাইক রিয়ানের মতে, লকডাউনের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের উপরে আপাতত রাশ টানা সম্ভব হলেও ভবিষ্যতে তা ফের ফিরে আসতে পারে। যে কারণে এই মারণ ভাইরাসকে চিরতরে নির্মূল করতে চীন- দক্ষিণ কোরিয়ার মডেল অনুসরণে করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।