করোনা : জি-৭ সম্মেলন হবে ভিডিও কনফারেন্সে
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী জুনে অনুষ্ঠিতব্য জি-৭ নেতাদের সশরীরে উপস্থিত হয়ে সম্মেলন বাতিল করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরিবর্তে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
আসছে জুনে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষের চলাফেরা কমাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিচ্ছে ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।
বিশ্বের শিল্পোন্নত ৭টি দেশের জোট জি-৭-এর নেতাদের সাথে কয়েকদিন আগেও একটা ভিডিও কনফারেন্স করেছেন ট্রাম্প। আসছে এপ্রিল, মে এবং জুনেও এ ধরনের করফারেন্স আবার করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।
হোয়াইট হাউসের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপের কথা বাকি রাষ্ট্রগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
জি-৭এর সম্মেলনের মতো আয়োজনে সাধারণত অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বড় প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এরসঙ্গে এ সম্মেলনের খবর পেতে বিশ্বের বহু দেশের সাংবাদিকও এতে উপস্থিত হন। সবমিলিয়ে বেশ বড়সগ লোকসমাগম ঘটে এ সম্মেলন ঘিরে। আর এ পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে তাই ভিডিও কনফারেন্সের দিকে ঝুঁকেছে যুক্তরাষ্ট্র।
.
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আইন, বিনামূল্যে করা যাবে পরীক্ষা
বুধবার করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই আরও তীব্র করে ‘ফ্যামিলিস ফার্স্ট করোনা ভাইরাস রেসপন্স অ্যাক্ট’ ৯০-৮ ভোটে পাস করে মার্কিন সিনেট। কয়েক ঘণ্টা পরই সেই বিলে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্পের স্বাক্ষরের মধ্যে দিয়েই আইনে পরিণত হয়েছে বিলটি। নতুন আইনের ফলে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার সুবিধা পাবেন নাগরিকরা। এছাড়াও, আক্রান্ত ও তাদের পরিচর্যায় থাকা ব্যক্তিরা বেতনসহ ছুটি পাবেন। করোনা রুখতে এর আগে ৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ত্রাণ তহবিল মঞ্জুর করেছিল মার্কিন সংসদ।
করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশবাসীকে সাহস দিতে মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বে যুদ্ধ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আর এই যুদ্ধে আমরা জিতবোই।” গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। সেটাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় প্রথম মৃত্যু।
করোনার চিকিৎসায় ক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমোদন
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ানিরোধী ওষুধ ক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমরা তাৎক্ষণিকভাবে এই ওষুধ বাজারজাত করতে পারবো এবং এখানেই এফডিএ (খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন) এত দুর্দান্ত।
ট্রাম্প বলেন, ওষুধটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। অনেক অনেক মাস থেকে তারা (এফডিএ) এটা তৎক্ষণিক পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। আমরা এখন থেকে ওষুধটি প্রেসক্রিপশনে রাখতে পারবো।