মানুষ নয় প্রকৃতি থেকেই সৃষ্টি হয়েছে করোনা ভাইরাস
বিশ্বকে প্রবলভাবে নাড়িয়ে দিয়েছে করোনা ভাইরাস। গোটা বিশ্বই এখন কার্যত অচল। আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বত্র। সেই করোনা নিয়ে আলোচনা-গবেষণা কম হচ্ছে না কিছু। একেকবার একেক রকম তথ্য। এখন পর্যন্ত এ করোনার হানায় প্রাণ হারিয়েছে ৮ হাজারের বেশি মানুষ। এই সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কোভিড-১৯ মহামারি রূপ নিয়েছে। কয়েকদিন আগেই বলা হয়েছিল, কৃত্রিমভাবে এ ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে। তবে সেই গবেষণাকে ভুল দাবি করে নতুন গবেষণা প্রকাশ।
করোনা ভাইরাস নিয়ে একটি নতুন গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে নেচার মেডিসিন পত্রিকায়। নোভেল করোনা ভাইরাস সার্স-কো ভি-২ বা কোভিড-১৯ ও তার সম্পর্কীত ভাইরাসগুলোর জিনের গঠন সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা। এ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আমেরিকার স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানী। নোভেল করোনা ভাইরাস কৃত্রিমভাবে তৈরি হয়েছে বলে গবেষণায় কোনো প্রমাণ মেলেনি।
গবেষণাপত্রটির অন্যতম লেখক স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসেন বলেন, পরিচিত করোনা ভাইরাসের স্ট্রেইনগুলোর তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, সার্স-কো ভি-২ স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে।
গবেষকদের বক্তব্য, চিনা কর্তৃপক্ষ খুব দ্রুত এ মহামারি শনাক্ত করেছেন। একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে সংক্রমণের জেরেই কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা বাড়ছে। হাতে আসা এ সব তথ্য বিশ্লেষণ করেই সার্স-কো ভি-২ ভাইরাসের উৎপত্তি কীভাবে, তা জানতে পেরেছেন গবেষকদের এ দলটি। বিজ্ঞানীদের দাবি, স্বাভাবিক বিবর্তনের ফলেই এগুলো তৈরি হয়েছে। কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়নি।
চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস ক্রমেই মহামারি রূপ নিচ্ছে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্ত হতে বাদ নেই ইউরোপ, আমেরিকাও। বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে ভাইরাস। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও। এই ঘটনায় রেসিডেন্ট ইভিল সিনেমার ভয়ানক প্রতিফলনই দেখতে পাচ্ছেন অনেকে। ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ সন্দেহ করেছে, রহস্যময় ‘নোভেল করোনা ভাইরাস’ চাষ করেছে চীনের গোপন সামরিক গবেষণাগার। দ্বিতীয় মার্কিন পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্ট মোসাদের এ দাবিকেই সমর্থন করেছে। তবে নয়া গবেষণার ফল প্রকাশ্যে আসায় এবার সেই জল্পনা ও বিতর্ক কিছুটা থামবে বলেই মনে করা হচ্ছে।