মুখ খুলেছে ইরান: দিল্লিতে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার নিন্দা
দিল্লিতে মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে ইরান। এই নিয়ে চারটি মুসলিম রাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে এই দাঙ্গার নিন্দা জানালো। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ ‘ভারতীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ সহিংসতা চালানোর’ নিন্দা জানান এবং ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন গুণ্ডামি বরদাস্ত না করার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
খুবই ঠাণ্ডা মাথার মানুষ ও সতর্কতার সঙ্গে শব্দ বাছাইয়ের জন্য কূটনৈতিক মহলে সুনামের অধিকারী জারিফ সোমবার রাতে এক টুইটে লিখেন: ভারতীয় মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ সহিংসতা চালানোর নিন্দা করছে ইরান। শত শত বছর ধরে ইরান ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্ব রয়েছে। সকল ভারতীয়ের কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন গুণ্ডামিকে প্রশ্রয় না দিতে আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাবো। শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও আইনের শাসনের মধ্যেই সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ নিহিত।
এর আগে ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও পাকিস্তান
দিল্লিতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সংঘটিত ভয়াবহ দাঙ্গার নিন্দা করেছে। বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়াও ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)’র নিন্দা ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)’র প্রতিবাদ করেছে।
ইরানের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতর থেকে কিছু বলা হয়নি। যদিও অতীতে তুরস্ক ও পাকিস্তানের নিন্দার জবাব দেয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখে ইরান থেকে তেল কেনা বন্ধ করেছে ভারত। তবে সেখানকার চাবাহার বন্দরে ভারতের বিনিয়োগ অব্যাহত রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া গত শুক্রবার ভারতীয় দূতকে ডেকে দিল্লির দাঙ্গার ব্যাপারে তাদের উদ্বেগের কথা জানায়। এর আগে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয়।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে দিল্লি দাঙ্গা প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান বলেন যে সারা ভারতজুড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড চলছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতীয় মুসলমানদের চরপন্থার দিকে ঠেলে দেয়ার বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। খান বলেন, এর প্রভাব শুধু উপমহাদেশেই পড়বে না, গোটা বিশ্বের উপর পড়বে।
গত ডিসেম্বরে সিএএ’র বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেন যে এই আইনের কারণে মানুষ মারা যাচ্ছে। তবে এই কথা তথ্যগতভাবে ঠিক নয় বলে ভারত প্রতিবাদ করে।
সিএএ পাস হওয়ার প্রায় এক মাস পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সিএএ ভারতের অভ্যন্তরিণ বিষয় হলেও কেন এই আইন করা হলো সেটা তিনি বুঝতে পারছেন না। এটা করার প্রয়োজন ছিলো না।