তালেবান বন্দিবিনিময় মেনে নেওয়ার আহ্বান পাকিস্তানের
যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান শান্তিচুক্তির আওতায় বন্দিবিনিময় মেনে নিতে আফগানিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি এক বিবৃতিতে উভয় পক্ষকে ধৈর্য ধরে আলোচনার টেবিলে বসার পরামর্শ দিয়েছেন।
আফগান যুদ্ধ থেকে সরে যেতে গত শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) তালেবানের সঙ্গে বহুল প্রতীক্ষিত শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করে যুক্তরাষ্ট্র। কাতারের রাজধানী দোহায় স্বাক্ষরিত চুক্তিতে আফগানিস্তানে বন্দি তালেবান সদস্যদের মুক্তির বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে। তবে রবিবার আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলে দেন তালেবানদের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ আলোচনায় বন্দিবিনিময়ের বিষয়টি আসতে পারে। তবে আলোচনার পূর্বশর্ত হিসেবে বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না। আফগান প্রেসিডেন্টের ঘোষণার পরই সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা শুরুর ঘোষণা দেয় তালেবান।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-তালেবান চুক্তিতে বলা হয়েছে বন্দিবিনিময় করা হবে। আফগান প্রেসিডেন্ট (আশরাফ) ঘানি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এই চুক্তির ব্যাখ্যা চাইতে পারেন’।
১৮ বছরের আফগান যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তালেবানকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করে গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও আফগান সরকার। তবে ইসলামাবাদ তা অস্বীকার করে গেছে। তাছাড়া তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলোচনাতেও সমর্থন দিয়েছে দেশটি।
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ আলোচনাতেও পাকিস্তানের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশি। তবে উভয় পক্ষকে একগুঁয়ে মনোভাব বাদ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে (যুক্তরাষ্ট্রের আফগান শান্তিদূত) জালমাই খলিলজাদ আলোচনার বিষয়ে আফগান নেতৃত্বকে সব সময়ই অবগত করেছেন। অতীতেও বন্দিবিনিময় হয়েছে। যুদ্ধ থেকে শান্তির পথে অগ্রসর হতে হলে আপনাকে শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে এগুলো করতে হবে’।
দুই দিন আগে পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হলে আফগান নেতাদের ব্যক্তিস্বার্থ পাশে সরিয়ে রেখে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে হবে।