ঘুমিয়েও সারারাত ইবাদতের সাওয়াব রয়েছে যে আমলে

0

রমজান মানুষের জন্য এক মহাঅনুগ্রহ। এ মাসে বান্দার তাকওয়া অর্জন হয়। পবিত্র কুরআনের জ্ঞানে লাভে নিজেকে তৈরি করার মাসও এটি। এ মাসের শেষ দশক অনেক মর্যাদা ও গুরুত্ব বহন করে থাকে।

শেষ দশকের দিনগুলোতে মুসলিম উম্মাহর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এমন কিছু আমল রয়েছে, যা পালনে রয়েছে অনেক সাওয়াব। কেননা এ দশকে আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য রেখেছেন পবিত্র লাইলাতুল কদর।

এ রাতের আমল অল্প হলেও সাওয়াব দেয়া হবে হাজার মাসের সমান। আমলগুলো হলো-

>> বেশি বেশি সুরা ইখলাস পড়া
এ দশকে বেশি বেশি সুরা ইখলাস তেলাওয়াত করা। যে ব্যক্তি ৩ বার সুরা ইখলাস তেলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তিকে পুরো কুরআন তেলাওয়াতের সাওয়াব দেয়া হবে। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন ঘোষণা করলেন-

‘তোমাদের মধ্যে কেউ কি রাতে (ঘুমানোর সময়) এক-তৃতীয়াংশ (১০ পাড়া) কুরআন পড়তে পারবে? সাহাবাগণ আরজ করলেন, এটা কেমন করে সম্ভব? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ (সুরা ইখলাছ) কুরআনের এক তৃতীয়াংশ। (বুখারি ও মুসলিম)

সে হিসেবে রাতে ঘুমানোর সময় যদি একবার সুরা ইখলাস তেলাওয়াত করলে ১০ পারা কুরআন তেলাওয়াত করা হয়। সে হিসেবে ৩ বার সুরা ইখলাস পাঠে পুরো ৩০ পাড়া কুরআন তেলাওয়াতের সাওয়াব পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন > নামাজে দ্রুত রুকু-সেজদা ও এদিক-ওদিক তাকানো যাবে কি?

>> সারারাত ইবাদত করার সাওয়াব লাভ করা
রমজানের শেষ দশকে মুমিন বান্দা অবশ্যই রাত জেগে ইবাদত বন্দেগি করবে ঠিকই কিন্তু সারারাত নিয়মিত ইবাদত করা অত্যন্ত কষ্টকর। কিন্তু এমন একটি সহজ আমল রয়েছে, যার মাধ্যমে মুমিন বান্দা সারারাত ঘুমিয়েও পূর্ণরাত ইবাদত বন্দেগি করার সাওয়াব লাভ করবে। আর তাহলো ইশা এবং ফজর নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করা।

হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ইশার নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করলো, সে যেন অর্ধরাত পর্যন্ত নামাজ আদায় করলো। আর যে ইশা এবং ফজর নামাজ জামাআতে আদায় করলো, তবে ঐ ব্যক্তি সারারাত নামাজে অতিবাহিত করলো। (তিরমিজি)

সুতরাং অন্তত রমজানের শেষ দশকে ইশা এবং ফজরের নামাজ অবশ্যই জামাআতের সঙ্গে আদায় করা উচিত। যা সবার জন্য পালন করাও সহজ। আর এ সহজ কাজের মাধ্যমে অর্জিত হবে অনেক বড় সাওয়াব।

>> বেশি বেশি দান-খয়রাত করা
দান-সাদকা এমনিতেই অনেক মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত। কারণ দান-সহযোগিতার ফলে অসহায় দারিদ্র-পীড়িত মানুষে আহার মিলে। অন্তর পরিতৃপ্ত হয়। মনের অজান্তে দানকারীর জন্য দোয়া চলে আসে। যা দানকারীর জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।

সুতরাং রমজানের শেষ দশকে এসে প্রত্যেক মুমিন মুসলমান রোজাদারের উচিত প্রতি রাতেই অসহায় গরিব-দুঃখী মানুষকে দান-সহযোগিতা করা।

এ দান-সদকা রাতটি যদি লাইলাতুল কদর হয়, তবে দানকারীর জন্য তা মহা সৌভাগ্যের। কেননা এ রাতটির মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক রোজাদার মুমিন মুসলমানকে শেষ দশকে প্রত্যেক রাতে এ ক্ষুদ্র ৩টি আমল করার মাধ্যমে অনেক বেশি সাওয়াব ও মর্যাদা প্রাপ্তি নিজেদের আত্ম নিয়োগ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com