মানুষের উচ্চ মর্যাদার কারণ জ্ঞান
হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টির পর আল্লাহ তাআলা সকল বস্তুর নাম শিক্ষা দিয়েছেন। ফেরেশতাদের সম্মুখে সেগুলোর নাম উচ্চারণ করিয়ে তাকে সৃষ্টির রহস্যও উন্মোচন করেছেন। এর দ্বারা একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, কোনো বিষয় পরিচালনার জন্য প্রয়োজন জ্ঞানের। মানুষ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা এবং ইলমের গুরুত্ব বুঝাতে ফেরেশতাদের সামনে সমগ্র সৃষ্টি বস্তুকে উপস্থিত করলেন, সে প্রসঙ্গ আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ বলেন-
‘আর আল্লাহ তাআলা শিখালেন আদমকে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীর নাম। তারপর সে সমস্ত বস্তু-সামগ্রীকে ফেরেশতাদের সামনে উপস্থাপন করলেন। অতঃপর বললেন, আমাকে তোমরা এগুলোর নাম বলে দাও, যদি তোমরা সত্য হয়ে থাক। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৩১)
আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইলম বা জ্ঞানের উচ্চ মর্যাদার বিষয়টির ফেরেশতাদের সামনে তুলে ধরেছেন। যে মানুষের উচ্চ মর্যাদার কারণ হলো তার ইলম বা জ্ঞান। আল্লাহ তাআলা ভূ-পৃষ্ঠের মধ্যে অন্তর্গত সৃষ্ট বস্তুসমূহের নাম, গুণাগুণ, বিস্তারিত অবস্থা ও লক্ষাণাদি সম্পর্কে কোনো মাধ্যম ছাড়া সরাসরি ইলহামের মাধ্যমে জ্ঞান দান করেছেন। হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তাআলা সমগ্র বস্তুগুলোকে (সৃষ্টি) পিপীলিকার মতো ক্ষুদ্রাকারে হজরত আদম আলাইহিস সালামের সামনে পেশ করেছিলেন। যাতে তিনি এগুলো সম্পর্কে অনুভব ও উপলব্দি করতে পেরেছিলেন।
সুতরাং ইলম বা জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব অত্যাধিক। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক মানুষকে কুরআনের জ্ঞান অর্জনে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন। আমিন।