ধার-কর্জ দেয়ার সাওয়াব ও ফজিলত

0

মানুষ একান্ত প্রয়োজনে নিরুপায় হয়ে অন্যের কাছে ধার-কর্জ করে থাকে। বিনা কারণে কেউ কারো কাছে ধার চায় না বা অন্যের দারস্থ হয় না। সাধারণত ধার-দেনা মানুষের সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়; তাই কোনো ব্যক্তিই ধার-দেনা করতে পছন্দ করে না।

বিপদের কারণে বা বিশেষ প্রয়োজনে যারা অন্যকে ঋণ দেয় বা ধার দেয়; হাদিসে পাকে তাদের এ ধার দেয়ার সাওয়াব ও ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

হজরত ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রত্যেক ধার-ই সাদকা।’ (বায়হাকি, তারগিব)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘ধার-করজ দেয়ার নেকি সাদকা চেয়ে ১৮ গুণ বেশি।’ (তারগিব)

হজরত বারাআ ইবনু আজেব বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কাউকে কোনো জিনিস ধার দেবে কিংবা কাউকে পথ দেখিয়ে দেবে; ওই ব্যক্তির জন্য এ কাজটি ক্রীতদাস মুক্ত করার শামিল।’ (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ, ইবনে হিব্বান)

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, ধার বা কর্য দিলে সাদকা-এর সাওয়াব লাভ হয়। শুধু তা-ই নয়, (সাওয়াবের নিয়তে) ধার দিলে তা থেকে সাদকার ১৮ গুণ বেশি নেকি পাওয়ার কথাও বর্ণিত হয়েছে হাদিসে।

বিশেষ করে যে ব্যক্তি মানুষের উপকারার্থে ধার কর্জ দেবে; হাদিসের পরিভাষায় সে ব্যক্তি ক্রীতদাস মুক্ত করে দেয়ার সাওয়াবও লাভ করবে। আর ক্রীতদাস মুক্ত করে দেয়া হলো প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল। হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু আমল।

সুতরাং কারো বিপদ-আপদে বা একান্ত প্রয়োজনের সময় উপকারার্থে ধার-কর্জ দিয়ে উপকার করা সুন্নতি আমল। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ সুন্নাতি আমল করার তাওফিক দান করুন। এ আমলের মাধ্যমে প্রিয়নবি ঘোষিত সাওয়াব ও মর্যাদা লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com