জিলহজের ৯-১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব
৯ জিলহজ থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব। জিলহজের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত ৫ দিন মোট ১৩ ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর এ তাকবির পড়তে হয়। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন,
وَاذْكُرُوا اللَّهَ فِي أَيَّامٍ مَّعْدُودَاتٍ
আল্লাহকে স্মরণ কর নির্দিষ্ট দিনসমূহে। (সুরা বাকারা: ২০৩)
কোরআনের ব্যখ্যাকারদের মতে এ আয়াতে ‘নির্দিষ্ট দিন’ বলে তাশরিকের দিনগুলো অর্থাৎ জিলহজের ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ বোঝানো হয়েছে। এ দিনগুলোতে ফরজ নামাজসমূহের পরবর্তী তাকবির ছাড়া অন্যান্য সময়ও বেশি বেশি জিকির করা উত্তম।
এ বছর ১৪৪৫ হিজরির ৯ জিলহজ মোতাবেক ১৬ জুন ২০২৪ রোববার ফজরের নামাজ থেকে তাকবিরে তাশরিক পড়া শুরু করতে হবে। ১৩ জিলহজ (২০ জুন ২০২৪) বৃহস্পতিবার আসরের নামাজ পর্যন্ত তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে।
অর্থ ও উচ্চারণসহ তাকবিরে তাশরিক
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর; লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু; ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর; ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।’
অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’
তাকবিরে তাশরিক যাদের ওপর ওয়াজিব
মুসলমান প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ, নিজের বাড়িতে অবস্থানকারী ও মুসাফির, একা ও জামাতে নামাজ আদায়কারী সবার জন্য ফরজ নামাজের পর একবার তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব।
অনেকে মনে করে এটা মসজিদে নামাজ আদায়ের সাথে সম্পর্কিত। এ ধারণা সঠিক নয়। কোনো কারণে জামাত ছুটে গেলে ঘরে নামাজ আদায়ের পরও তাকবিরে তাশরিক পড়তে হবে। নারীরা ঘরে নামাজ আদায়ের পর তাকবিরে তাশরিক পড়বে।
তবে কোনো নারী এ সময় মাসিক অবস্থায় থাকলে তার ওপর তাকবিরে তাশরিক পড়া ওয়াজিব নয়। যেহেতু সে এ সময় নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকে, নামাজ তার ওপর আবশ্যক থাকে না, তাই নামাজ পরবর্তী তাকবির পড়াও তার ওপর আবশ্যক হবে না।