শ্রমের ন্যায্যমূল্য দাবি করেছেন গ্রামপুলিশ ও বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা
শ্রমের ন্যায্যমূল্য দাবি করেছেন গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্য ও বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকরা। শ্রমের মূল্য না পেয়ে পরিবার নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলাদা কর্মসূচিতে সরকারের প্রতি এ দাবি জানান বঙ্গবন্ধু আদর্শ গ্রামপুলিশ বাহিনী ও বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু আদর্শ গ্রামপুলিশ বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. লাল মিয়া বলেন, ৪৩ দিন থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে গ্রামপুলিশের সদস্যরা চাকরি জাতীয়করণের এক দফা আদায়ের জন্য আন্দোলন করে এলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। গ্রামপুলিশ সদস্যরা জনগণকে ৭২ প্রকারের সেবা দিয়ে আসছে।
বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত চাকরি স্কেল অনুযায়ী গ্রামপুলিশের সদস্যদের বেতন ভাতা প্রদানের দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কালচারাল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মইনুল রশিদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সবুর আল শাহাবাসহ শতাধিক গ্রামপুলিশ সদস্য।
এদিকে প্রেস ক্লাবের সামনে ষষ্ঠ দিনের অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ খোকন বলেন, ৯ জানুয়ারি ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ২৬,১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই সংখ্যা যথাযথ না হওয়ায় জাতীয়করণ যোগ্য আরও কিছু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষক বাদ পড়ে।
সংগঠনের সহসভাপতি মোহাম্মদ লিটন বলেন, ২০১৮ সালে আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণে চিঠি এলেও তা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। অবিলম্বে তিনি এসব শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার দাবি জানান।