ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায় ছয়মাস স্থগিত করা হোক
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে মোংলাসহ সুন্দরবন উপকূলের মানুষের ঘরবাড়ি। ভেসে গেছে কয়েক হাজার মাছের ঘের। পানিতে তলিয়ে ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন মৎস্য চাষি ও প্রান্তিক কৃষকরা। কারণ প্রায় সবাই ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ফসল ও মাছচাষে বিনিয়োগ করেন। কিন্তু ঝড়ে সব তছনছ হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
এ অবস্থায় কিস্তির টাকা আদায় ছয়মাস স্থগিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তারা। সোমবার (৩ জুন) মোংলা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সত্যজিৎ মণ্ডল, জামাল হোসেন, এনামুল সরদার, এরশাদুজ্জামান সেলিমসহ অনেকে বলেন, বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিওর কাছে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে মৎস্য ও কৃষিখাতে ব্যয় করেছিলাম। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রিমাল সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। এ অবস্থায় ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আমাদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে ব্যাংক ও এনজিওর ঋণের কিস্তি আদায় ছয়মাস স্থগিত করা হোক। একইসঙ্গে সুদ মওকুফ করার দাবি জানাই।