শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফকে সব শক্তির জোগান দিয়েছেন ক্যা শৈ হ্লা: কাজী মজিব
বান্দরবানে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে (কেএনএফ) অস্ত্রসহ সব শক্তির জোগান দিয়েছেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সভাপতি ক্যা শৈ হ্লা। এমনই অভিযোগ করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি কাজী মো. মজিবর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বান্দরবান সদরের গ্র্যান্ড ভ্যালি হোটেলে তিন দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে এ অভিযোগ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে কাজী মো. মজিবর রহমান বলেন, একটি বছর আলোচনার নামে কেএনএফের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ করে রেখে সেই সুযোগে কেএনএফের সদস্য সংখ্যা, অস্ত্রের মজুত ও সব শক্তি বৃদ্ধি করে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ; এ অঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে পাহাড়ে বসবাসকারী বাঙালিদের বিতাড়িত করে কুকি-চিন নামে যে রাষ্ট্র গড়তে চায় তার সঙ্গে ক্যা শৈ হ্লা জড়িত। যার প্রমাণ থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি ঘটনার দুদিন আগে তিনি থানচিতে অবস্থান করেছিলেন এবং কেএনএফের সঙ্গে মিটিং করেছিলেন। তিনি আসার পরে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুট হয়েছে। যে কারণে আজ সেনা, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের বিরূপ পাহাড়ি পরিবেশে অভিযান পরিচালনা করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এখন আবার শোনা যাচ্ছে লুট করা অস্ত্র ফেরত দেবে কেএনএফ। তবে তার বিনিময়ে ডায়ালগে বসতে হবে, সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার করতে হবে, সেনা মুভমেন্ট বন্ধ করতে হবে। অস্ত্র ফেরত দিলে যদি অভিযান বন্ধ করতে হয় তাহলে যেসব সেনা সদস্য অভিযানে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের মূল্যায়ন কতটুকু হচ্ছে। তাই অস্ত্র ফেরত তো তাদের দিতেই হবে।
এসময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে তারা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সভাপতি। একইসঙ্গে হিল ট্র্যাকস রেগুলেশন-১৯০০ এর শাসনবিধি বাতিল এবং সম্প্রতি আলীকদম, লামা, নাইক্ষ্যংছড়িতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীদের হুমকি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।