ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: তুরস্ক

0

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, ইরানের ইস্পাহানে ড্রোন হামলার পর ইরান ও ইসরায়েল যে বক্তব্য দিয়েছে তা অযৌক্তিক। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) তিনি এই মন্তব্য করলেন। একই সঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলকে সমর্থন দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনাও করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

জুমার নামাজের এক দল সাংবাদিককে এরদোয়ান বলেছেন, ইরান বা ইসরায়েল কেউ-ই পরিস্থিতির দায় নিচ্ছে না। এখন ইসরায়েল ভিন্ন কথা বলছে। ইরান ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি হাজির করছে। পরিস্থিতির দায় কেউ স্বীকার করছে না। এমন কোনও বক্তব্য আসেনি যা অযৌক্তিক নয়।

শুক্রবার ভোরে ইরানের ইস্পাহান শহরে কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইতালিও বলেছে, হামলার আগে দেশটিকে এই বিষয়ে অবহিত করেছে ইসরায়েল। তবে ইরান প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে হামলার জন্য দায়ী করেনি। ইসরায়েলও হামলা চালানোর কথা স্বীকার করেনি। ধারণা করা হচ্ছে, দুই দেশ যুদ্ধে জড়ানো থেকে নিজেদের বিরত রাখতে এই নীরবতা অবলম্বন করছে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার তুর্কি প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সাংঘর্ষিক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইরানে ইসরায়েলি ড্রোন হামলা সম্পর্কে আগেই জেনেছিল তারা। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেওয়ায় তিনি অবাক হননি বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, সবাই ফিলিস্তিনের পক্ষে। দুর্ভাগ্যবশত যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শনিবার হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ তুরস্ক সফর করবেন। হামাস নেতার সঙ্গে আলোচনার এজেন্ডা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেনি তুরস্ক। হামাস নেতারা তুরস্ক সফর করতে পারেন। এরদোয়ান হামাসকে মুক্তিকামী গোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গত কয়েক বছরে একাধিকবার হামাস নেতার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com