ভারতে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় অশান্তি, ভোট দেওয়ায় এগিয়ে নারীরা
ভারতে শুরু হয়েছে ভোট উৎসব। তবে ভারতের নিরিখে বাংলায় বরাবরই ভোট উত্তেজনা ও সহিংসতা বেশি।
আর সেই ছবি ধরা পড়ছে রাজ্যের কেন্দ্রগুলোয়। তবে বাংলায় এবার ভোট দিচ্ছেন ৫৬ লাখ ভোটার। সেখানে এখন অবদি নারী ভোট বেশি পড়েছে।
সকাল ৯টা পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রে গড়ে ১৬ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোচবিহারে ভোট পড়েছে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ, আলিপুরদুয়ারে ভোট পড়েছে ১৫ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং জলপাইগুড়িতে ভোট পড়েছে ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। দেশের ১০২টি কেন্দ্রের মধ্যে ভোটদানের নিরিখে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকেই দেশটির ১৭টি রাজ্য এবং চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট চলছে ১০২টি আসনে। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনের মধ্যে তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। রাজ্যটির উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে সকাল ৭টা থেকে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তবে তিন কেন্দ্র মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ৩৭টি অভিযোগ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। বহু অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। সব মিলিয়ে গত তিন ঘণ্টায় নির্বাচন কমিশনে ১৫১টা অভিযোগ জমা পড়েছে।
ভোট শুরু হতেই অশান্ত হয়ে উঠেছে কোচবিহার। ভোট কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল-বিজেপি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এজেন্টকে বাধা, কোথাও মারধর আবার কোথাও ভাঙচুরের খবর আসতে থাকে।
কোচবিহারের তুফানগঞ্জের তৃণমূলের ক্যাম্প অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এছাড়া অস্ত্র দেখিয়ে ভোটারদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে কেন্দ্রের শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আবার কোথাও বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দফায় দফায় কোচবিহারের শীতলকুচির মাথাভাঙ্গার বিভিন্ন অঞ্চলে বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া অশান্তির খবর আসতে থাকে জলপাইগুড়ি কেন্দ্র থেকেও। ওই জেলার বুড়িমারী অঞ্চলে বিজেপির বুথ অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কয়েকটি এলাকা বিজেপি-তৃণমূলের বিক্ষিপ্ত অশান্তিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
তবে সৌহার্দের ছবিও দেখা যায় জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে। সেখানে বিজেপির বুথ অফিসে এসে দেখা করে গেলেন গেলেন তৃণমূল প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়। তিনি ধূপগুড়ির বিধায়কও। তাকে বুথ অফিসে স্বাগত জানান বিজেপি কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে নির্মল বলেন, এটা সৌজন্যের বিষয়। রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকলেও জলপাইগুড়ি বারবার সৌজন্যের রাজনীতি দেখেছে।