সলোমন দ্বীপপুঞ্জের নির্বাচনে বিদেশী প্রভাব!
চলতি মাসে সলোমোন দ্বীপপুঞ্জে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে নানা সংশয় দানা বাঁধছে। কিশেষ করে দুই প্রার্থী ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা চীনা ও সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের মধ্যকার বিতর্কিত নিরাপত্তা চুক্তিটির পর্যালোচনা করবে।
প্রধানমন্ত্রী মানাসে সোগাভেরের আমলে চীনের সাথে সলোমোন দ্বীপপুঞ্জের সম্পর্ক গভীর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশা করছেন ১৭ এপ্রিলের নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি আরেক মেয়াদে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন।
প্যাসিফিরেক অন্যতম গরিব দেশ সলোমোন আইল্যান্ডস উন্নয়ন সহায়তা ও সাহায্যের জন্য অস্ট্রেলিয়া ও চীনসহ অংশীদারদের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। চীন দেশটিতে অবকাঠামো উন্নয়ন, চিকিৎসা, পুলিশব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা খাতে সহায়তা করছে।
চীনকে স্বীকৃতি দিতে সলোমোন দ্বীপপুঞ্জ ২০১৯ সালে তাইওয়ানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। তিন বছর পর তারা বেইজিংয়ের সাথে নিরাপত্তা চুক্তিতে সই করে। এই পদক্ষেপ প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের উচ্চাভিলাষ প্রশ্নে পাশ্চাত্যের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়।
দুই প্রার্থী বলেছেন, তারা চীনের সাথে করা চুক্তিটি নতুন করে মূল্যায়ন করবেন। তারা হলেন ইউনাইটেড পার্টির নেতা পিটার কেনিলোরি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সলোমোন আইল্যান্ডস পার্টি ফর রুরাল অ্যাডভান্সমেন্টের প্রধান গর্ডন ডারসি লিলো।
হাউয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক টারসিসিয়াস কাবুতাউলাকা মনে করেন, সলোমোন দ্বীপপুঞ্জ ক্রমবর্ধমান হারে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে গেছে।
এসব বৈশ্বিক শক্তির এই নির্বাচনে তাদের স্বার্থ রয়েছে।
সূত্র : গার্ডিয়ান