ইসরায়েলে হামলার কারণ জাতিসংঘকে জানিয়েছে ইরান
ইরানের জাতিসংঘের দূত আমির সাইদ ইরাভানি নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, তেহরান ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ তার ‘আত্মরক্ষার সহজাত অধিকার’ হিসেবে ব্যবহার করছে।
এ মাসের শুরুতে দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ।
তাই তেহরানের কাছে পাল্ট জবাব দেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প ছিল না, তার দেশ যুদ্ধ চায় না, তবে যে কোনো হুমকি বা আগ্রাসনের জবাব দেবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সিরিয়ায় কন্স্যুলেট অফিসে হামলার জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালানো হবে বলে ৭২ ঘণ্টা আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে সতর্ক করেছিল ইরান।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান এ দাবি করেছেন।
যদিও ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবি অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেনি তেহরান।
এদিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, আমাদের অভিযানের ৭২ ঘণ্টা আগে আমাদের বন্ধু এবং প্রতিবেশী দেশগুলোকে জানিয়েছি যে, ইসরায়েলকে অবশ্যই জবাব দেবে ইরান, যা বৈধ এবং এড়ানোর উপায় নেই।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবির বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলার আগে তারা ওয়াশিংটন ও তেহরান উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছিল।
কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি অস্বীকার করে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, এটি একেবারেই সত্য নয়। তারা (হামলার বিষয়ে) কোনো ধারণা দেয়নি, কোনো নোটিশ দেয়নি। তারা এমন কোনো ধারণা দেয়নি যে, ‘এরা লক্ষ্যবস্তু হবে, তাদের সরিয়ে দিন’।
হামলা শুরু হওয়ার পরেই তেহরান যুক্তরাষ্ট্রকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিল বলে দাবি করেন এ কর্মকর্তা।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েল হামলা চালায়। এতে একাধিক ইরানি সামরিক কমান্ডার নিহত হন। এর জবাবে শনিবার ইসরাইলের ভূখণ্ডে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইরান।
সূত্র: টিআরটিওয়ার্ল্ড