তেল অবিবেই সরকারের বিরুদ্ধে ৪৫ হাজার মানুষ প্রতিবাদে রাজপথে
প্রায় ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেই আগ্রাসনের মধ্যেই ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে রোববার (১৪ এপ্রিল) গভীর রাতে সরাসরি ইসরায়েলের ওপর হামলা শুরু করেছে তেহরান।
এদিকে ইসরায়েল থেকে গাজা ভূখণ্ডে যাদের হামাস ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের সবাইকে এখনও ফেরানো যায়নি। এই আবহে নিজেদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধেই রাজপথে নামলেন কয়েক হাজার ইসরায়েলি।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের রিপোর্ট অনুযায়ী, তেল অবিব, জেরুজালেমসহ ইসরায়েলের একাধিক শহরে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ পথে নেমেছেন তাদের সরকারের বিরুদ্ধে। গাজা ভূখণ্ডে এখনও আটকে থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তি এবং নতুন নির্বাচনের দাবিতে সরব হয়েছেন প্রতিবাদীরা।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি, এক লাখ মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে তেল অবিবের পথে নেমেছিলেন।
দাবি করা হচ্ছে, এখনও ১৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দি আটকে আছেন গাজায়।
উল্লেখ্য, প্রতি সপ্তাহেই সরকার বিরোধী এই ধরনের প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে তেল অবিবিসহ একাধিক জায়গায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে আচমকা ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। জবাবে গাজায় পাল্টা হামলা করে ইসরায়েল। এই যুদ্ধে গাজায় ইসরারেলি বাহিনীর হাতে প্রতিদিন শত শত সাধারণ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন।
গতবছর ৭ অক্টোবর সকাল সকাল হাজার হাজার রকেট গাজা ভূখণ্ড থেকে উড়ে এসেছিল দক্ষিণ ইসরায়েলে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল ইজরায়েলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। হামাস যোদ্ধারা সীমান্তের বেড়া কেটে ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে। অনেককে বন্দি করে নিয়ে যায়।
এরপর ইসরায়েলও পালটা হামলা চালায়। শুরু হয় যুদ্ধ। কয়েক হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে এতে। গাজায় যে পরিস্থিতি, তাতে আইসক্রিম ট্রাকগুলো চলমান মর্গে পরিণত হয়েছে। গাজায় ২৩ লাখ মানুষের বাস।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে গাজা ভূখণ্ডের ক্ষমতায় যায় হামাস সরকার। গাজার প্রশাসন তাদেরই হাতে। এই হামাসের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল।
হামাসের সঙ্গে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে নাম লিখিয়েছে ইয়েমেনের গোষ্ঠী হুথি। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীও ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে ইয়েমেনের এই গোষ্ঠী লোহিত সাগরে একাধিক পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালিয়েছে। এসবের মাঝেই আবার ইরান সরাসরি হামলা চালিয়ে দিল।
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস