ইরানের আক্রমণে ছোটাছুটি শুরু করে ইসরাইলিরা
জেরুসালেমের মামিল্লা পাড়ার ৪৯ বছর বয়সী মুদি দোকানের মালিক ইলিয়াহু বারাকাত বলেছেন, ‘আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে এটি (দোকান) খালি। সবাই বাড়িতে দৌড়াচ্ছে।’
বারাকাত জানান, ‘পানি, খাবার, সবকিছু’ মজুদ করার জন্য অনেক লোক তার দোকানে যায়।
তিনি বলেন, ‘সাধারণত আমরা রাত ১টায় দোকান বন্ধ করি। তবে আজ আমরা খোলা রাখব।’
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ইরান ইসরাইলে ২০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। যার মধ্যে অনেকগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন রয়েছে।
শহরজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ এবং আকাশ লাল হয়ে যায়। ওই সময়টাতে বাসিন্দারা খাবার মজুদ করে এবং বাঙ্কারগুলোতে আশ্রয় চায়।
আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি মানুষকে আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত হতে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করিয়ে দিচ্ছি যে আক্রমণ যেদিক থেকে শুরু করা হোক না কেন, যখন অ্যালার্ম বাজবে তখন আপনাকে অবশ্যই আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে অন্তত ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।’
৫২ বছর বয়সী ডেন্টিস্ট মাইকেল উজান জানান, তার পরিবার তার শ্বশুরবাড়িতে একত্রিত হওয়ার জন্য জড়ো হয়েছিল।
তারা সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করে অপচনশীল খাবার কিনেছিল এবং অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের বাঙ্কারে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল।
তিনি জানান, তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে আগামী দিনগুলোতে দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হবে।
বার্তাসংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, ‘কাল কোনো কাজ নেই, এমনকি মিটিং, সবকিছু বাতিল। শিশুদের স্কুল বন্ধ। আমার একটি মেয়ে আছে যার আগামীকাল একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সবকিছু বাতিল হয়ে গেছে।’
উত্তর ইসরায়েলের বাসিন্দারাও আক্রমণের আশঙ্কায়
মাজদ আল-ক্রুমের গ্যালিলি গ্রাম থেকে ৫২ বছর বয়সী সামার খলিল এএফপিকে বলেন, ‘আমি সত্যিই যুদ্ধকে ভয় পাই, এটি গুরুতর।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি সাইরেন শুনতে পাই, আমি জানি না কী করব। আমরা লেবাননের সীমান্তের কাছে। আমি ৩০ বোতল পানি কিনেছিলাম। দোকানে দুধ ছিল না।’
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল