নির্বাচনের ম্যাচ শুরুর আগেই মোদির বিরুদ্ধে ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের’ অভিযোগ রাহুলের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ‘ম্যাচ ফিক্সিংয়ের’ অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী। রোববার নয়াদিল্লিতে ক্ষমতাসীন বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ মিছিলে ভাষণ দেওয়ার সময় এই অভিযোগ আনেন রাহুল। তিনি জোর দিয়ে আরও বলেছেন, বিজেপি যদি তার প্রচেষ্টায় সফল হয় তবে দেশের সংবিধান পরিবর্তন করা হবে এবং জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। দ্য ইকোনমিক টাইমস।
রাহুল বলেছেন, সামনে আমাদের লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের ম্যাচ শুরুর আগেই দুই খেলোয়াড়কে কারাবন্দি করেছেন মোদি। কারাবন্দি দুই মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির কেজরিওয়াল ও ঝাড়খন্ড বিধানসভার হেমন্ত সরেনকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন। নির্বাচনি বৈতরণি পার হতে মোদি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করেছেন বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাহুল বলেছেন, বিজেপি ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ করছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি ৪০০ আসন পার হতে আম্পায়ার বেছে নিয়েছেন।’
এ সময় তিনি মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনারদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগও করেন। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আনা আয়কর বিভাগের নোটিশের প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘আমাদের অ্যাকাউন্টগুলো সিল করা হয়েছে। বারবার আইটি (ইনকাম ট্যাক্স বা আয়কর) নোটিশ পাঠানো হচ্ছে।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই পদক্ষেপ নির্বাচনের ৬ মাস আগে না করে কেন ঠিক নির্বাচনের মুখেই করা হলো। ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে কংগ্রেস নেতা বলেছেন, ‘গরিব মানুষের হাত থেকে দেশের সংবিধান কেড়ে নেওয়ার জন্য ম্যাচ ফিক্সিং করা হচ্ছে। যেদিন সংবিধান শেষ হবে, দেশ আর বাঁচবে না। সংবিধান দেশের মানুষের কণ্ঠস্বর। যেদিন সংবিধান শেষ হবে সেদিন আলাদা রাষ্ট্র হবে। এটাই বিজেপির লক্ষ্য।’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে নয়াদিল্লিতে ইন্ডিয়া জোট ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ শীর্ষক মিছিলের আয়োজন করে। রাজনীতি বিশ্লেষকরা লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মিছিলকে ইন্ডিয়া জোটের শক্তি প্রদর্শনের মহড়া হিসাবে মনে করছেন।