যে আমলে আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী স্থান সওয়াবে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে, কী সেই আমল?
কুরআন মানুষের জীবন বিধান। হাদিস মানের এ জীবন-বিধানকে চলার পথকে সহজ করে দেয়। কোরআন-সুন্নাহর সম্বন্বয়ে গঠিত জীবন-যাপনই পরকালের কল্যাণ সাধিত হয়। নবিজি সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম পরকালের কল্যাণে অসংখ্য ছোট ছোট আমলের উপদেশ দিয়েছেন। দৈনন্দিন জীবনের এসব ছোট ছোট আমলের অনেক ফজিলতও বর্ণনা করেছেন তিনি। এমনই একটি ছোট্ট আমল বর্ণনা করেছেন যা মানুষের ওজন দণ্ডের জন্য যথেষ্ট ও আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী স্থান সওয়াবে পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। কী সেই ছোট্ট আমল?
হজরত আবু মালিক হারেছ ইবনে আছেম আশআরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পবিত্রতা ঈমানের অর্ধাংশ। আর আলহামদুলিল্লাহ (اَلْحَمْدُ للهِ) ওজন দণ্ডের পরিমাপককে পরিপূর্ণ করে দেবে। আর সুবহানাল্লাহ (سُبْحَانَ اللهِ) ও আলহামদুলিল্লাহ (اَلْحَمْدُ للهِ) আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে পরিপূর্ণ করে দেবে। নামাজ হচ্ছে একটি উজ্জ্বল জ্যোতি। সাদকা হচ্ছে (ঈমানের) নিদর্শন। সবর বা ধৈর্য হচ্ছে জ্যোতির্ময়। আর আল-কুরআন হবে তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে দলিল প্রমাণ স্বরূপ। বস্তুত সকল মানুষই প্রত্যেক ভোরে নিজেকে আমলের বিনিময় বিক্রি করে দেয়। তার আমল দ্বারা নিজেকে (আল্লাহর আজাব থেকে) মুক্ত করে অথবা তার নিজের ধ্বংস সাধন করে। (মুসলিম)
হাদিসটি উম্মাতে মুহাম্মাদির জন্য গুরুত্বপূর্ণ আমলি দিকনির্দেশনা। ছোট ছোট এ আমলগুলোতে পাবে পরকালীন জীবনের উন্নতি। যারাই এর বিপরীতে চলতে থাদের জন্যই হবে কঠিন বিপদ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফজিলতপূর্ণ জিকিরের আমলগুলো দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।