রংপুরে ট্রাফিক পুলিশের ঘুষিতে নাক ফাটলো বাইকারের!
রংপুরে মোটরসাইকেল পার্কিং করা নিয়ে হাসান আল মামুন নামে এক যুবকের নাক ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে ট্রাফিক পুলিশের উপ-পরিদর্শক (টিএসআই) সজল কুমারের বিরুদ্ধে।
বুধবার (০২ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়।
গাড়ির কাগজপত্র ঠিক থাকার পরও জোরপূর্বক মামলা দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই ট্রাফিক পুলিশ। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মামুনের নাকে ঘুষি মারেন তিনি।
এ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে প্রত্যক্ষদর্শীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
আহত মামুন রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জ কলেজ রোডের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মনসুর আহমেদের ছেলে।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওষুধ কিনতে নগরীর আজাদ হোমিও হলের সামনে মোটরসাইকেল রেখে দোকানের ভেতরে যান মামুন। ওষুধ নেওয়া শেষে তিনি বাড়ির দিকে রওনা হলে পথে রংপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই সজল কুমার ও শফিকুল ইসলাম এসে তার মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। পুলিশের কথা মতো মামুন ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র দেখান।
সবকিছু ঠিক দেখানো হলেও ট্রাফিক পুলিশ তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে সড়কে মোটরসাইকেল রেখে চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর অপরাধে মামলা দেবেন বলে জানান। এ সময় মামুন মোটরসাইকেল নিয়ে দোকানের সামনে থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মামুনের নাকে ঘুষি মারেন টিএসআই সজল। এতে মামুনের নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে এবং তিনি রাস্তায় পড়ে যান। এ দৃশ্য দেখে পথচারী ও স্থানীয়রা ওই পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ করলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আশপাশে থাকা অন্যান্য ট্রাফিক সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা সজলসহ মামুনকে নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান।