দুনিয়ার জীবনের কর্মকাণ্ডই হবে পরকালের সুখ-শান্তির মানদণ্ড!
সব মানুষই আখেরাতের মুসাফির। নির্দিষ্ট একটা সময় পর সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। শেষ হবে দুনিয়ার জীবনের কর্মব্যস্ততা। দুনিয়ার জীবনের কর্মকাণ্ডই হবে পরকালের সুখ-শান্তির মানদণ্ড। তাই দুনিয়াতে থাকতেই পরকালের কল্যাণে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ দুনিয়াতে উত্তম আমল করতে না পারলে পরকালের কঠিন সময়ে ভোগান্তি, অশান্তি, দুঃখ-কষ্টের সীমা থাকবে না। পরকালের সঠিক প্রস্তুতিতে রয়েছে হাদিসের একাধিক বর্ণনা-
১. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে মানব সম্প্রদায় ! সুখ বিনাশকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি করে স্মরণ করো।’ (তিরমিজি, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)
২. হজরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ! সবচাইতে বুদ্ধিমান লোককে? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি বেশি বেশি মৃত্যুকে স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণে লেগে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ)
৩. হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সংকটময় মুহূর্তে বান্দা যখন মৃত্যুকে স্মরণ করে, তখন এ স্মরণ তার সংকটময়তাকে দূর করে দেয় আর সুখের মুহূর্তে মৃত্যুকে স্মরণ করে তখন এ স্মরণ তার সুখ স্বাচ্ছন্দকে দূর করে দেয়।’
উল্লেখিত হাদিসগুলো দ্বারা প্রমাণিত যে, মৃত্যুর স্মরণই মানুষকে পরকালের জন্য প্রস্তুত করে। নেক আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। অন্যায় ও অসত্যের পথ পরিহার করতে সহায়তা করে। দুনিয়ার সব অন্যায় জুলুম, অত্যাচার থেকে ফিরে থাকার মানসিকতা তৈরি করে দেয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মৃত্যুর স্মরণের মাধ্যমে মানুষের এ ক্ষনস্থায়ী জিন্দেগিতে আমলে সালেহ তথা নেক কাজ করে আখিরাতের স্থায়ী জীবনের বুনিয়াদ গড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।