প্রবীণদের প্রতি সচাদরণ ও সম্মান জানাতে ঘোষণা দিয়েছে ইসলাম!
প্রবীণদের মর্যাদা কত বেশি তা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি ঘোষণা থেকেই প্রমাণিত। তিনি বলেছেন, প্রবীণদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষাকারীরা কেয়ামতের দিন সব ভয়-ভীতি ও বিপদ থেকে নিরাপদ থাকবে। প্রবীণদের প্রতি সচাদরণ ও সম্মান জানাতে আরও অনেক ঘোষণা দিয়েছে ইসলাম।
প্রবীণরা সম্মানের দিক থেকেও উত্তম। তারা বেশি নেক আমলের অধিকারী। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি কি তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তির সংবাদ দেব না? তারা বলল, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম যে দীর্ঘায়ু লাভ করে এবং সুন্দর আমল করে।’ (মুসনাদে আহমাদ)
ইসলামে প্রবীণদের মর্যাদা ও সম্মান
প্রবীণদের যথাযোগ্য মর্যাদা, সম্মান ও অধিকার দিয়েছে ইসলাম। তাঁরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝা নন; বরং দুনিয়া ও পরকালের সফলতার অনন্য অনুপ্রেরণা ও মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। প্রবীণদের প্রতি সদাচরণ, সম্মান, তাদের মর্যাদা সুরক্ষা এবং অধিকার সুনিশ্চিতে হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তাগিদ দিয়েছেন বিশ্বনবি। অনেক পুরস্কার, উপকারিতা ও প্রতিদানের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। হাদিসে এসেছে-
১. ‘নিশ্চয়ই শুভ্র চুলবিশিষ্ট মুসলিমকে সম্মান করা আল্লাহকে সম্মান করার শামিল।’ (আবু দাউদ)
২. ‘যে ব্যক্তি কোনো বয়োবৃদ্ধের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করবে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাকে কেয়ামতের দিন সব ভয়-ভীতি ও আশঙ্কা থেকে নিরাপদ রাখবেন।’
৩. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘প্রবীণদের সঙ্গেই তোমাদের কল্যাণ, বরকত আছে।’ (ইবনে হিব্বান, মুসতাদরাকে হাকেম)
৪. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন বার বললেন, ধূলায় অবলুণ্ঠিত হোক তার নাক। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাস করেন, কার নাক? হে আল্লাহর রাসূল!, তিনি বললেন, সেই ব্যক্তির যে তার বৃদ্ধ পিতা-মাতার একজনকে অথবা উভয়কে পেল। অতপর তাদের খিদমত করে জান্নাত লাভ করতে পারল না। (মুসলিম)
৫. প্রবীণ ও জ্ঞানী লোকের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান দেখাতে নসিহত পেশ করেছেন হজরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি বলেছেন-
‘জ্ঞানীকে তার জ্ঞানের জন্য, বৃদ্ধকে তার বয়সের জন্য শ্রদ্ধা ও সম্মান করতে হবে।’
ইসলামের নির্দেশনা হলো প্রবীণদের শ্রদ্ধা ও সম্মান করা আর ছোটদের স্নেহ করা। সুতরাং বিশ্বের সব প্রবীণ ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা ও সম্মানে অভিষিক্ত করার পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের সবচেয়ে মর্যাদাবান ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা মানুষের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
প্রবীণদের প্রতি অবহেলা এড়াতে করণীয়
বিশ্বব্যাপী গড়ে উঠেছে বৃদ্ধাশ্রম। সে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে বাংলাদেশেও। বিদেশিদের অনুকরণে দেশে ব্যাপক হারে বৃদ্ধাশ্রম অবাধে বাড়তে থাকলে হাজার বছরের পারিবারিক ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ, স্নেহ-প্রীতি, মায়া-মমতার বন্ধন ধ্বংসের পথে ধাবিত হবে। বিলুপ্ত হবে প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা। আর নিঃসন্দেহে মানুষের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে ধ্বংস এবং আজাব পতিত হবে।
সুতরাং প্রবীণদের সেবা-যত্নের প্রতি গুরুত্ব দিতে সচেতন হওয়া ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা খুবই জরুরি। সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি যশ-খ্যাতি ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বৃদ্ধাশ্রম গড়ে না তুলে প্রবীণদের প্রতি ভালোবাসা তৈরিই হোক সময়ের দাবি।
প্রবীণরা যে কোনো ধর্ম বর্ণ গোত্রের লোকই হোক না কেন, সব সময় তাদের সম্মানের চোখে দেখতে হবে। প্রয়োজনীয় দেখাশোনা, খাবার-দাবার, যত্ন-চিকিৎসা, বস্ত্র-বাসস্থান; তাদের সবকিছুই হতে হবে মানসম্মত। তবেই দুনিয়া ও পরকালে পাওয়া যাবে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।
প্রবীণ বাবা-মায়ের প্রতি করণীয় ও দোয়া
বাবা-মা বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদের সঙ্গে আচরণ কেমন করতে হবে; সে সম্পর্কে কোরআনুল কারিমে আল্লাহ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন এভাবে-
‘আর তোমার রব আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাঁকে (আল্লাহকে) ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করো না এবং তোমরা বাবা-মার প্রতি সদাচরণ করো। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়ে যদি তোমার কাছে বার্ধক্যে উপনীত (প্রবীণ) হন, তাহলে তুমি তাদের সঙ্গে ‘উফ’ শব্দটিও করো না এবং তাদের ধমক দেবে না। আর তাদের সঙ্গে নরমভাবে কথা বলো। আর তাদের প্রতি মমতাবশে নম্রতার ডানা বিছিয়ে দাও এবং বলো (তাদের জন্য দোয়া করো)-
رَّبِّ ارۡحَمۡهُمَا کَمَا رَبَّیٰنِیۡ صَغِیۡرًا
‘হে আমার রব, তুমি তাদের প্রতি দয়া করো যেমন তারা আমাকে ছোটকালে দয়াবশে প্রতিপালন করেছিলেন।’ (সুরা বনি ইসরাঈল : আয়াত ২৩-২৪)
প্রবীণদের সালাম দেওয়া
বার্ধক্যে উপনীত প্রবীণদের সালাম দেওয়া উত্তম। তাদের জন্য শান্তির দোয়া করা। তাদের সালাম দিতে অগ্রাধিকার দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ছোটরা বড়দের, চলমান ব্যক্তি বসা ব্যক্তিকে এবং কমসংখ্যক বেশিসংখ্যককে সালাম দেবে।’ (বুখারি)
প্রবীণদের ইবাদতে শিথিলতা
নামাজ পড়ার ক্ষেত্রেও প্রবীণদের জন্য রয়েছে শিথিলতা। তারা যদি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে অক্ষম হয়, তবে প্রবীণদের জন্য সুবিধাজনকভাবে ইবাদত-বন্দেগির সুযোগ রয়েছে। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইমরান বিন হুসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি অর্শ্ব রোগে ভুগছিলাম। এ অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামকে নামাজ আদায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করো। যদি অক্ষম হও তবে বসে পড়। যদি তাতেও অক্ষম হও তাহলে শুয়ে শুয়ে পড়।’ (বুখারি)
প্রবীণদের ইবাদতের বিশেষ সুযোগ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রবীণদের সম্মানে নামাজ সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল্লাহর কসম! আমি অমুকের কারণে ফজরের নামাজে অনুপস্থিত থাকি। তিনি নামাজকে খুব দীর্ঘ করেন। আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপদেশ দিতে গিয়ে সেদিনের মতো এত অধিক রাগ হতে কখনো দেখিনি। এরপর তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে বিতাড়নকারী বা বিরক্তকারী আছে। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি নামাজে ইমামতি করবে, সে যেন সংক্ষেপ করে। কেননা তাদের মধ্যে দুর্বল, প্রবীণ-বয়োবৃদ্ধ ও বিপদগ্রস্ত লোকও থাকে।’ (বুখারি)
ইমামতিতেও প্রবীণদের অগ্রাধিকার
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রবীণদের নামাজের ইমামতিতেও অগ্রাধিকার দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের বললেন, আল্লাহর কিতাব কোরআন মাজিদের জ্ঞান যার সবচেয়ে বেশি এবং যে কোরআন তেলাওয়াত সুন্দরভাবে করতে পারে, সে-ই নামাজের জামাতে ইমামতি করবে। সুন্দর কিরাতের ব্যাপারে সবাই যদি সমান হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে হিজরতে অগ্রগামী সে ইমামতি করবে। হিজরতের ব্যাপারেও সবাই যদি সমান হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে বয়সে প্রবীণ সে-ই ইমামতি করবে।’ (মুসলিম)
প্রবীণদের রোজা রাখায়ও শিথিলতা
রোজা রাখার ক্ষেত্রে প্রবীণদের বিশেষ সুবিধা দিয়েছে ইসলাম। অতি বৃদ্ধ বা প্রবীণ ব্যক্তি রোজা পালনে অক্ষম হলে প্রতিদিনের রোজার বিনিময়ে একজন করে মিসকিনকে খাদ্য খাওয়ানো বিনিময়ে প্রবীণকে রোজা রাখায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আতা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছি যে- আর যাদের জন্য এটি (রোজা পালনে) খুব কষ্টকর হবে, তারা যেন এর পরিবর্তে একজন করে অভাবিকে খাদ্য দান করে।’ এর ব্যাখ্যায় ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রোজা পালনে অক্ষম বৃদ্ধ-বৃদ্ধার প্রত্যেক দিনের (প্রতিটি রোজার) পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্য খাওয়ানোর বিধানসংবলিত এই আয়াত রহিত হয়নি। (বুখারি)
হজ পালনেও প্রবীণদের শিথিলতা
ফরজ হজ পালনে অক্ষম প্রবীণ ব্যক্তির হজের হুকুম আদায় করতেও বিশেষ সুযোগ দিয়েছে ইসলাম। তাই অক্ষম প্রবীণ বা বৃদ্ধ ব্যক্তির পক্ষ থেকে সক্ষম ব্যক্তির মাধ্যমে (বদলি) হজ করানো ইসলামে বৈধ। প্রবীণদের প্রতি দয়া দেখানোর বিষয়টি ওঠে এসেছে, নামাজ, রোজা ও হজের মতো ইবাদতেও। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘বিদায় হজের বছর খাসআম গোত্রের একজন নারী এসে বলেন, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার ওপর যে হজ ফরজ হয়েছে তা আমার বৃদ্ধ বাবার ওপর এমন সময় ফরজ হয়েছে; যখন তিনি সওয়ারির ওপর ঠিকভাবে বসে থাকতে পারেন না। আমি তার পক্ষ থেকে হজ করলে তার হজ আদায় হবে কি? তিনি বলেন, হবে।’ (বুখারি)
কথা বলায়ও প্রবীণদের অগ্রাধিকার
বড়দের কথা বলতে দেওয়ার প্রতি অগ্রাধিকার দিতেন বিশ্বনবি। একবার হজরত আবদুল্লাহ ইবনে সাহল ও মুহাইয়াসা খাদ্যের অভাবে খায়বারে আসেন। ঘটনাক্রমে আবদুল্লাহ নিহত হলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ঘটনাটি বলার জন্য মুহাইয়াসা অগ্রসর হন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুহাইয়াসাকে বলেন, ‘বড়কে কথা বলতে দাও, বড়কে কথা বলতে দাও। তিনি এতে বয়সে প্রবীণ ব্যক্তির কথা বলার অগ্রাধিকারের কথা বলেছেন।’ (বুখারি)
শুধু তা-ই নয়, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নৈকট্য পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রবীণদের অগ্রাধিকার দিয়েছেন বিশ্বনবি। তিনি বলতেন, ‘তোমাদের মধ্যকার প্রবীণ ও জ্ঞানী লোকেরা যেন আমার কাছাকাছি দাঁড়ায়। তারপর পর্যায়ক্রমে দাঁড়াবে যারা তাদের কাছাকাছি, তারপর দাঁড়াবে যারা তাদের কাছাকাছি তারা।’ (মুসলিম)
বয়োবৃদ্ধ প্রবীণদের করণীয়
তবে বৃদ্ধ বয়সে প্রবীণদের করণীয় হলো- যথাসাধ্য ইবাদত-বন্দেগিতে নিয়োজিত থাকা। অনেক প্রবীণ ব্যক্তির মেজাজ খিটখিটে থাকে। ইবাদত-বন্দেগিতে মনোযোগী হলে খিটখিটে ভাব থাকে না। তাই প্রবীণ বয়োবৃদ্ধদের জন্য বেশি বেশি তাসবিহ, তাহলিল, দোয়া-দরূদ, তাওবাহ-ইসতেগফারে সময় অতিবাহিত করা জরুরি। মহান আল্লাহ বলেন-
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা কর, খাঁটি তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের রব তোমাদের পাপসমূহ মোচন করবেন এবং তোমাদের এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন; যার তলদেশে নদীসমূহ প্রবাহিত, নবি ও তার সঙ্গে যারা ঈমান এনেছে তাদের সেদিন আল্লাহ লাঞ্ছিত করবেন না। তাদের আলো তাদের সামনে ও ডানে ধাবিত হবে। তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের জন্য আমাদের আলো পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন; নিশ্চয়ই আপনি সর্ববিষয়ে সর্বক্ষমতাবান’ (সুরা তাহরিম : আয়াত ৮)
প্রবীণদের বেশি বেশি এ দোয়া করা-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْجُبْنِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْبُخْلِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল ঝুবনি ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়া আউজুবিকা মিন আরজালিল উমুরি ওয়া আউজুবিকা মিন ফিতনাতিদ দুনইয়া ওয়া আজাবিল কবরি।’
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি ভীরুতা থেকে আশ্রয় চাই, তোমার কাছে কৃপণতা থেকে আশ্রয় চাই, তোমার কাছে অতি বার্ধক্যে পৌঁছার বয়স থেকে আশ্রয় চাই এবং তোমার কাছে দুনিয়ার ঝগড়া-বিবাদ ও কবরের শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি)
মুসলিম উম্মাহর সব প্রবীণের আরও কর্তব্য হলো আত্মীয়-স্বজনদের যথাসম্ভব খোঁজ-খবর নেওয়া ও তাদের জন্য দোয়া করা। যেভাবে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম বৃদ্ধ বয়সে এসেও তাঁর ছেলে ইসমাঈল আলাইহিস সালামের খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন। একসঙ্গে কাবা ঘর নির্মাণ করেন; তাদের জন্য ও পরবর্তী বংশধরদের জন্য দোয়া করেন।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে প্রবীণদের যথাযথ সম্মান, সদাচরণ, অধিকার প্রদানের মাধ্যমে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা, উপকারিতা পাওয়ার তাওফিক দান করুন। প্রবীণদের যত্ন