সানজানার বাবা গ্রেফতার
রাজধানীর দক্ষিণখানে ১২তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজানা মোসাদ্দিকার (২১) আত্মহত্যার ঘটনায় তার বাবা মো. শাহীন আলমকে (৪৯) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আত্মহত্যার আগে সানজানার লেখা ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সাথে থাকা যায়, কিন্তু অমানুষের সাথে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা’ চিরকুট আলোচিত হলে সানজানার বাবা গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন চলে যান।
বুধবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে দক্ষিণখান মোল্লারটেক এলাকার একটি ১২তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন সানজানা মোসাদ্দেক। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রাতেই সানজানার মা বাদী হয়ে নিহতের বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে আত্মহত্যার বিষয়ে তদন্ত শুরু করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পায়। পরে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী আসামি শাহীন আলমকেকে গ্রেফতারের জন্য র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় র্যাব-১ গোয়েন্দা শাখা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় র্যাব-১ এর আভিযানিক দল তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌরসভা থেকে আত্মগোপনে থাকা শাহীন আলমকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, একটি ব্যাগ, একটি মোবাইল ফোন এবং নগদ দুই হাজার ৫০২ টাকা জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
গ্রেফতার শাহীন আলমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ জানান, সানজানাকে পড়ালেখার খরচ না দেওয়া, তার দ্বিতীয় বিয়ে করা, কাজের মেয়ের সঙ্গে অশোভন আচরণ, স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়াকে কেন্দ্র করে সানজানাকে আত্মহত্যা করতে প্ররোচিত করেন তিনি। আত্মহত্যার আগে নিহতের নিজ হাতে লেখা চিরকুটটি আলোচিত হলে আসামি শাহীন আলম গ্রেফতার এড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিলেন।
সূত্র: জাগো নিউজ