‘তোমারে পুইত্তা ফালামু’ ছাত্রীকে শিক্ষিকা মাহবুবার হুমকি
হলের আবাসিকতার জন্য সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়া কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে বোর্ডে থাকা এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষিকার নাম মাহবুবা সিদ্দিকা। তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনি খালেদা জিয়া হলের হাউজ টিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) হলের সিট বরাদ্দের জন্য সাক্ষাৎকার শেষে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে শনিবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও তাকে ‘শিবির’ বলে আখ্যা দেওয়া হয় আবেদনপত্রে তিনি উল্লেখ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) খালেদা জিয়া হলের আবাসিকতা প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারী ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার নেয় হল প্রশাসন। এ সময় বোরকা পরিহিত ওই ছাত্রীকে ‘শিবির’ বলে হেনস্তা করেন শিক্ষিকা মাহবুবা সিদ্দিকা। পরে তিনি তার আত্মীয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতাকে বিষয়টি জানান। তিনি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সাগরকে বিষয়টি জানান। সাগর শিক্ষিকা মাহবুবা সিদ্দিকার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই ছাত্রীকে হেনস্তা না করার জন্য অনুরোধ করেন।
বুধবার হল প্রভোস্টের কার্যালয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে ডাকেন শিক্ষিকা মাহবুবা সিদ্দিকা। পরে তিনি সেখানে গেলে তাকে নানাভাবে হেনস্তা করেন ও হুমকি দেন শিক্ষিকা মাহবুবা। এ সময় হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী, হাউজ টিউটর নাজমুল হুদা ও ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিযোগ, ছাত্রলীগকর্মী সাগরের মাধ্যমে অনুরোধ করার বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষিকা মাহবুবা সিদ্দিকা বলেন, ‘আমি রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ছিলাম। চিনো তুমি আমারে? আমি কত পাওয়ার চালাইছিলাম তুমি জানো? তোমার এলাকার মেয়র টিটু ভাইকে চিনো? ওইখানে তোমারে পুইত্তা (পুঁতে) ফালামু। আমার বাড়ি কোথায় জানোস? আমার শ্বশুরবাড়ি কোথায় জানস? আমার সাথে ফাইজলামি না? এলাকায়ও টিকতে পারবা না।’