জেটিভি রিপোর্ট : মুদ্রণ, প্রকাশনা ও প্যাকেজিং শিল্পের প্রধান কাঁচামাল ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, সুইজ বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড এবং সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপার আমদানির শুল্ক ২৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। একারণে এসব পণ্য বৈধভাবে দেশে খুব কম আসছে। ফলে সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে। আমদানি শুল্ক কমানো হলে এখান থেকে সরকারের রাজস্ব বাড়বে এবং অবৈধভাবে এসব পণ্য নিয়ে আসার প্রবণতা কমবে।
শনিবার (২২ জুন) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশে পেপার ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতি, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ, মেট্রোপলিটন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমানে ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, সুইজ বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড এবং সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপার আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ, রেগুলেটরি ডিউটি ৩ শতাংশ, এটিডি ৪ শতাংশ এবং এআইটি ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যান্য বিষয় অপরিবর্তিত রেখে শুধু আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করলে সরকার লাভবান হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বর্তমানে দেশে যে কাগজ শিল্প গড়ে উঠেছে, সেগুলোতে শুধু ছাপা ও লেখার কাগজ, নিউজ প্রিন্ট, মিডিয়া ও লাইনার পেপার, সিগারেট পেপার, টিস্যু পেপার ও নিম্নমানের বোর্ড উৎপাদিত হয়।
অন্যদিকে উল্লেখিত কাগজ উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশে এখনও কোনো শিল্প গড়ে ওঠেনি। সুতরাং আমদানি করা ডুপ্লেক্স বোর্ড, আর্ট পেপার, আর্ট কার্ড, সুইজ বোর্ড, ফোল্ডিং বক্স বোর্ড এবং সেলফ অ্যাডহেসিভ পেপার কোনোভাবেই আমাদের স্থানীয় কাগজ উৎপাদনকারী শিল্পের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। আমদানি করা এ সব কাগজ ও বোর্ড দেশীয় মুদ্রণ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেপার ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ভরসা, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান শহীদ সেরনিয়াবাত, চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল প্রমুখ।