যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত কমেছে, সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা
মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্পের ‘স্বাস্থ্য’ নিয়ে শুনানি করেছে সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটি। মঙ্গলবার এই শুনানিতে শিল্পটির ভিত্তি এবং দেশের সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদা মেটানোর সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে দেখা গেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থনের কারণে সরবরাহ সমস্যা গুরুতর হয়ে উঠেছে।
শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন নিউজউইকের প্রতিনিধিও। এতে কানেক্টিকাটের ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল বলেন, ‘মার্কিন সামরিক বাহিনী সম্ভবত তাদের জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ইউক্রেনে পাঠিয়েছে—আমাদের সরবরাহের এক-তৃতীয়াংশ তাদের দেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন মজুত কিংবা সেই অস্ত্রগুলো পুনরায় পূরণ করতে ৩২ মাস সময় লাগবে।’
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যদি দেশীয় উৎপাদনের বর্তমান হারের অধীনে ইউক্রেনকে জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হতে থাকে, তবে অদূর ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের এই মূল অস্ত্রের উল্লেখযোগ্য ঘাটতি অনুভব করতে পারে।
সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল ২০২০ সালের মার্চে সক্রিয় করা ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্টের কথা উল্লেখ করেন। মহামারির প্রথম বছর এবং ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ বছরে প্রবর্তিত এই আইনের মাধ্যমে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উৎপাদনকারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রি (পিপিই) উৎপাদনের নির্দেশনা দেন। ওই সময়ে পিপিই এর সরবরাহ ঘাটতি ছিল পাশাপাশি মজুতদারি এবং মূল্য বৃদ্ধি উভয়ই প্রতিরোধ করতে চেয়েছিল ওই প্রশাসন। সিনেটর ব্লুমেন্থাল ইঙ্গিত দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ওই আইন সক্রিয় করার কারণে ‘এই মূল অস্ত্র ফুরিয়ে যাচ্ছে।’
ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্ট ১৯৫০ (ডিপিএ) প্রেসিডেন্টকে জরুরি ক্ষমতা দিয়েছে। এটি ব্যবহার করে তিনি বেসরকারি ব্যবসাগুলোকে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকারী চুক্তি গ্রহণ এবং অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য করতে পারেন।
আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সামনে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক ডিফেন্স ফর অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড সাসটেইনমেন্ট দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি এলেন লর্ড। তিনি আশ্বস্ত করেন, আমেরিকার জ্যাভলিন মজুত পূরণ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্টটি।
এলেন লর্ড বলেন, ডিপিএ এর ফলে সরকারি দফতরগুলো শিল্পে অর্থ যোগাতে পারে। এতে প্রকৃত অর্থে পূঁজি বিনিয়োগ হয় কিংবা কর্মীদের প্রশিক্ষণ হয় কিংবা সরবরাহ শৃঙ্খলের উন্নয়ন ঘটে।
সূত্র: নিউজ উইক