কেন রাশিয়ায় ঢুকতে পারবেন না জুকারবার্গ ও কমলা হ্যারিসরা?
ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় এবার যুক্ত হলেন মার্ক জুকারবার্গ। জুকারবার্গকে নিষিদ্ধ করেছে রাশিয়া।
এছাড়া মেটা সিইও ছাড়াও রাশিয়ায় ঢোকা নিষিদ্ধ হল মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, লিঙ্কড ইন-এর সিইও রায়ান রোসালনস্কি ও এমন বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের যাদের বিরুদ্ধে ‘রাশিয়া ফোবিক’ এজেন্ডা চালানোর অভিযোগ রয়েছে মস্কোর।
অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাশিয়ার বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রী জানিয়েছে, এরা ঢুকতে পারবেন না রাশিয়ায়। যদিও টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালের নাম মস্কোর নিষেধাজ্ঞা তালিকায় নেই। কেন তার ক্ষেত্রে এই ছাড় তা নিয়ে কৌতূহল ছড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ২৯ জন মার্কিন ও কানাডার ৬১ জনকে নিষিদ্ধ করেছে মস্কো।
পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, রাশিয়া প্রবেশে জুকেরবার্গের ওপর নিষেধাজ্ঞায় বিস্ময়ের কিছু নেই। কেন না অতীতেও মস্কো ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামকে চরমপন্থা সংক্রান্ত আইনে নিষিদ্ধ করেছিল। রাশিয়ায় বহুল ব্যবহৃত দু’টি অ্যাপের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছিল। মেটার নানা প্ল্যাটফর্মকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দেয় ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশাসন।
তবে ফেসবুকের আরেক প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপকে অবশ্য নিষিদ্ধ করা হয়নি।
রাশিয়া বলেছিল, হোয়াটসঅ্যাপ যোগাযোগ রাখার মাধ্যম এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায় না। রুশ সরকারি সংবাদ সংস্থা তাস-এর খবর, এফএসবি প্রতিনিধি ইগর কোভালেভস্কি আদালতে জানান, মেটা সংগঠনের কার্যকলাপের অভিমুখ রাশিয়া ও তার সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে। যদিও আইনি সংস্থা, ব্যক্তিবর্গ মেটার পণ্য ব্যবহার করলে তা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে সামিল হওয়া বলা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, মেটা সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ব্যবহারকারীদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে পুতিনের মৃত্যু কামনা করে বার্তা পোস্ট করার অনুমতি দিয়েছিল। যদিও নিষেধাজ্ঞার খাড়া নামতেই সেই অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়েছে। মেটা তার কর্মীদের পাঠানো অভ্যন্তরীণ মেলে বলেছে, নতুন মডারেশন সংক্রান্ত নিয়মকে কখনই যেন সাধারণভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হিংসাকে মাফ করে দেয়া হচ্ছে বলে ভাবা না হয়। যদিও মেটা গত সপ্তাহে রাশিয়া, ইউক্রেন, জর্জিয়া, পোল্যান্ডে ইউজারদের পুতিনের মৃত্যু চেয়ে বার্তা পোস্ট করার অনুমতি দেয়।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন