পিটিআইকে রাজনীতি থেকে সরাতে চায় ‘আমদানি’ করা সরকার: ইমরান খান
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেছেন, বিদেশি অনুদানের মামলায় ফাঁসিয়ে আমদানি করা সরকার তার দলকে রাজনীতির মাঠ থেকে সরাতে চাইছে। ন্যায্যতার স্বার্থে, পিপিপি, পিটিআই এবং পিএমএল-এন-এর বিরুদ্ধে আদালতের মামলাগুলোর শুনানি এক সঙ্গে শোনার দাবিও জানান তিনি।
এর আগে ইমরান খান রাষ্ট্রীয় তোষাখানার উপহার দুবাইয়ে বিক্রি করেছেন বলে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেন। তিনি বলেন, অর্থের জন্য ইমরান খানের বিক্রি করে দেওয়া এসব উপহারের মধ্যে হীরার অলংকার, বালা ও হাতঘড়ি ছিল।
শনিবার ( ১৬ এপ্রিল) করাচির বাগ-ই-জিন্নাহ-তে আয়োজিত জলসায় ইমরান খান এক ভাষণে তার বাড়িতে এসে সমর্থন করার জন্য অনুরাগীদের ধন্যবাদ জানান। করাচিতে যাওয়া শুধু ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এবং এর পেছনে তার দল পিটিআইয়ের অন্য কোনো উদ্দেশ্য নেই বলেও জানান তিনি।
মামলা নিয়ে কথা বলার সময় পিটিআই চেয়ারম্যান বলেন, এই মামলা করা হয়েছে তার দলকে রাজনীতির খেলা থেকে বের করে দেওয়ার জন্য। তিনি বলেন, আমি বিদেশি অনুদানের মামলা এবং তার (শাহবাজ শরিফ) দুর্নীতির মামলার শুনানি এক সঙ্গে শোনা উচিত। এটি মিথ্যা মামলা বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ভাষণের শুরুতেই ইমরান খান বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গ তুলে ধরে, এটি বিশ্বাস করেন কি না বলে হাত তুলতে বলেন উপস্থিত জনতাকে। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা কি বিদেশি ষড়যন্ত্র নয়?
এর আগে ইমরান খান একটি চার্টার প্লেনে করে করাচিতে পৌঁছান এবং পিটিআই নেতা ইমরান ইসমাইল এবং অন্যান্য নেতাদের মধ্যে সাবেক জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সার তাকে স্বাগত জানান।
পাকিস্তানের সদ্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী শিগগির নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন সম্প্রতি। ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগেও দাবি করেন যে তাকে পদ থেকে অপসারণ বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ এবং তিনি শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনও হয়েছে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।
পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো প্রধানমন্ত্রী অনাস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিয়েছেন ক্ষমতা থেকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার শুনানি হতে পারে। রাজনীতির লড়াইয়ে গ্রেফতারও হতে পারেন পাকিস্তানের এই সাবেক ক্যাপ্টেন।
সূত্র: জিও নিউজ