থামছে না হাওরের কান্না

0

চারদিন আগেও ধানে ধানে সবুজ ছিল যে হাওড়টি এখন পানিতে তলিয়ে জলমগ্ন হয়ে ঢেউ খেলছে, কচুরিপানা ভাসছে হাওড়ের বুকে। সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনার হাওরের কৃষক। পানি বেড়ে হাওর তলিয়ে যাওয়ায় ফসল হারিয়ে কাঁদছেন সুনামগঞ্জের কৃষকরা। অনিয়ম-দুর্নীতি করে দুর্বল বাঁধ নির্মাণের বিষয় নিয়ে চলছে তোলপাড়। গত ২৪ ঘণ্টায় নদ-নদীতে পানি কিছুটা কমেছে। আসাম ও মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি না হলে পানি বাড়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা। তবুও আতঙ্ক কাটেনি হাওরের কৃষকের। দুর্বল বাঁধ ভেঙে ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।

বুধবার রাত পর্যন্ত জেলার প্রায় দেড়শ ছোট-বড় হাওরের মধ্যে ১২টির ফসল উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে ডুবেছে। বেশিরভাগ হাওরে পানি ঢুকেছে বাঁধ ভেঙে। সুনামগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর ষোলোঘর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার হাওরের কীর্তনখোলা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আতঙ্ক বেড়েই চলেছে। খালিয়াজুরী ইউএনও এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পাউবো ও এলাকাবাসী বাঁধে রয়েছে। স্থানীয় কৃষকদের সহায়তায় বাঁশ, কাঠ, মাটি দিয়ে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com