পার্লামেন্টে যা হলো তাতে সেনাবাহিনীর কিছুই করার নেই: বাবর ইফতেখার
পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়ার বিষয়ে দেশটির সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মেজর জেনারেল বাবর ইফতেখার বলেছেন, আজ পাকিস্তানের পার্লামেন্টে যা হলো তাতে সেনাবাহিনীর কিছুই করার নেই। রোববার তিনি এমন মন্তব্য করেন।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট বাতিল করা এবং পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দেশটির সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগের প্রধান বলেন, এ বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই। এছাড়া অনাস্থা ভোট বাতিল করা এবং পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়ার বিষয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জড়িত কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে মেজর জেনারেল বাবর ইফতেখার বলেছেন, না এ বিষয়ে আমরা জড়িত না।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগের প্রধান আরো বলেছেন, আজ পাকিস্তানের পার্লামেন্টে যে সকল ঘটনা ঘটেছে তাতে দেশটির সেনাবাহিনী জড়িত না।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরামর্শে প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এসব কথা বলেন মেজর জেনারেল বাবর ইফতেখার।
এর আগে জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
ইমরান খান আজ রোববার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেয়ার জন্য জাতিকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ডেপুটি স্পিকার বিদেশি ষড়যন্ত্রে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা বাতিল করে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেন, জাতির সামনে বিদ্রোহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি বলতে চাই ‘ঘাবরানা নাহি হাই’ (ঘাবরাবেন না)। আল্লাহ পাকিস্তান পরিস্থিতি দেখছেন।”
তিনি বলেন, তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রীরা জনগণের কাছে যাবে এবং নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে জনগণ কাকে ক্ষমতায় চায়।
এখন সবকিছু ঠিক থাকলে ৯০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফারুখ হাবিব।
সূত্র : দ্যা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল