ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব ঐতিহ্য হুমকির মুখে: ইউনেস্কো

0

ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ডজন কয়েক গীর্জা, ঐতিহাসিক স্থান ও যাদুঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসঙ্ঘের সাংস্কৃতিক সংস্থা শুক্রবার এমনটি জানিয়েছে। সংস্থাটি আরো জানায় যে দেশটির উত্তরাঞ্চলের চেরনিহিভ শহরটি নিয়ে তারা বিশেষভাবে শঙ্কিত।

ইউনেস্কো গত মাসে বলেছিল যে রাশিয়ার আক্রমণের আলোকে তারা ইউক্রেনের বিপন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় তাদের পদক্ষেপগুলো জোরদার করেছে। এ সব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে দেশটিতে অবস্থিত সাংস্কৃতিক স্থান ও স্মৃতিস্তম্ভগুলোকে একটি ‘নীল ঢাল’ প্রতীক ব্যবহার করে চিহ্নিত করা।

ইউনেস্কোর সহকারী মহাপরিচালক, আরনেস্টো অটোনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মানবিক এবং (সাংস্কৃতিক) ঐতিহ্য’ এই উভয় বিষয়ের পরিস্থিতি নিয়েই আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন রয়েছি। মানবতার ঐতিহ্য (ইউক্রেনে) সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে।

ইউনেস্কোর প্রাথমিক তালিকাটিতে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলোর মধ্যে রয়েছে ২৯টি ধর্মীয় স্থান, ১৬টি ঐতিহাসিক স্থাপনা, চারটি যাদুঘর এবং চারটি স্মৃতিস্তম্ভ।

সংস্থাটি জানায়, মার্চের শুরুতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গে ল্যাভরভকে ইউনেস্কোর প্রধান অড্রে আজুলে লিখিতভাবে মনে করিয়ে দেন যে যুদ্ধকালীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার উদ্দেশে করা চুক্তিটিতে রাশিয়াও একটি স্বাক্ষরকারী দেশ।

প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল রাশিয়া সেটিতে কোনো সাড়া দেয়নি। তবে, পরবর্তীতে ইউনেস্কো জানায় যে তারা রাশিয়ার কাছ থেকে সেটির একটি জবাব পেয়েছে। সেটিতে রাশিয়া জানিয়েছিল, তারা তাদের দায়বদ্ধতা সম্পর্কে অবগত এবং তা রক্ষায় ‘প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।

ইউক্রেনে নিজেদের কর্মকান্ডটিকে একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ হিসেবে ব্যাখ্যা করে রাশিয়া। এই সপ্তাহের আলোচনায় রাশিয়া বলে, আস্থা অর্জনের উদ্দেশে তারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আশপাশে এবং সেটির কাছের চেরনিহিভ শহরটিতে তাদের আগ্রাসনের মাত্রা হ্রাস করবে।

তবে, কিয়েভ এবং তাদের মিত্ররা বলছে রাশিয়া ওইসব এলাকাগুলো থেকে কোনো শুভেচ্ছা বার্তা হিসেবে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করছে না। বরং সেটি করা হচ্ছে কারণ তারা সেখানে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর আবার জড়ো হতে চায়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com