আমাকে হত্যা করা হতে পারে: ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আশঙ্কা নিয়ে বলেছেন, আমার জীবন বড় হুমকির মুখে। আমাকে হত্যা করা হতে পারে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) এআরওয়াই নিউজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ শঙ্কার কথা বলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার এমন কথাই পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গণে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী ইমরান খান দাবি করেন, তার জীবন বিপন্ন। বিশ্বস্ত এক সূত্রে এমন খবর পেয়েছেন তিনি। তবে সেই ভয়ে তিনি পিছপা হবেন না। তিনি বলেন, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের জন্য যত দূর লড়াই করতে হয় করব। এ জন্য আমার প্রাণহানির আশঙ্কা থাকলেও ভয় পাই না।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, তার সামনে তিনটি পথ বেছে দেওয়া হয়েছে। আর সেই পথ বেছে দিয়েছে। এর মধ্যে একটি হলো আস্থাভোট, দ্বিতীয়টি দ্রুত নির্বাচন এবং তৃতীয় পথ থেকে সরে দাড়ানো। এই তিন পথের মধ্যে প্রথমটি রোববার।
অর্থাৎ ওইদিন আস্থাভোটে ইমরানকে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে। ফলাফল স্রোতের প্রতিকূলে হলে দ্বিতীয় পথটি বেছে নেবেন, দ্রুত নির্বাচন।
ইমরান বলেন, আমার প্রাণহানির আশঙ্কা তো আছেই, সেই সঙ্গে বিরোধীরাও আমাকে সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সে কারণে বিদেশি শক্তির সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে তারা। বিরোধীরা আমার চরিত্রহনন করতেও ছাড়ছে না। এমনকি আমার স্ত্রীর চরিত্র তুলেও আক্রমণ করছে।
প্রসঙ্গত, ৭৫ বছরের ইতিহাসে পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত কোনো প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতিতে বিপর্যয় ডেকে এনেছে অভিযোগ করে অনাস্থা প্রস্তাব দেয় বিরোধীরা। ৪ এপ্রিলের মধ্যে এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে।
পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসে এর আগে দুবার দায়িত্বরত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে। তবে সেই দুবারই তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীরা (১৯৮৯ সালে বেনজীর ভুট্টো এবং ২০০৬ সালে শওকত আজিজ) দায়িত্বে থেকে যেতে সক্ষম হন।