রাশিয়া-চীনকে প্রতিরোধে প্রতিরক্ষা খাতে আরো বরাদ্দ চান বাইডেন

0

চীন ও রাশিয়াকে কোনোভাবেই ঠেকাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। এখন সবচেয়ে বড় দুই ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’কে মোকাবেলায় প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই অংশ হিসেবে ২০২৩ অর্থবছরে সামরিক খাতে অর্থায়নের জন্য গত সোমবার একটি ঐতিহাসিক ৮১৩ বিলিয়ন ডলারের অনুরোধ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ মাসের প্রথমে যে প্যাকেজে স্বাক্ষর করা হয়েছিল তার থেকে এই সংখ্যা ৪ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে রয়েছে ৭৭৩ বিলিয়ন ডলারের সরাসরি পেন্টাগন তহবিল এবং অন্যান্য বিভাগের প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত কর্মসূচিতে অর্থায়নের জন্য আরো ৪০ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে রয়েছে শক্তি বিভাগের পারমাণবিক শক্তি-সম্পর্কিত কার্যক্রম।

পেন্টাগনের বিবেচনাধীন ৭৭৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের এই প্রস্তাব ২০২১ অর্থবছরের চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, কংগ্রেসের কাছে অনুরোধ ‘সমন্বিত প্রতিরোধের ধারণার প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিকে শক্তিশালী করে, আমাদের অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তারা যেন বিশ্বজুড়ে আরো ভালো সিকুয়েন্স এবং অপারেশন পরিচালনা করার অনুমতি দেয়, যৌথ বাহিনীকে আধুনিকীকরণ করে এবং আমাদের নিবেদিত কর্মীবাহিনী এবং তাদের পরিবারের জন্য অর্থপূর্ণ সমর্থন প্রদান করে।

অন্য দিকে সিএনএনের এক খবর অনুসারে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে মিসাইল উৎপাদন বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষা দফতরের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনকে প্রতিদিন ব্যাপক পরিমাণ মিসাইল সরবরাহ করতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে। ফলে দেশটিতে যে ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করতেই মিসাইল উৎপাদন বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন। ইউক্রেন প্রতিদিন ৫০০টি জ্যাভেলিন এন্টি-ট্যাংক মিসাইল এবং ৫০০টি স্টিঙ্গার এন্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল চায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। সম্প্রতি তারা একটি লিস্টও পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে, যেখানে তাদের অস্ত্রের চাহিদা উল্লেখ করা আছে। ৭ মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ যুদ্ধের দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ১৭ হাজার এন্টি-ট্যাংক মিসাইল দিয়েছে। এ ছাড়া ওই সময়ের মধ্যে দুই হাজারের বেশি এন্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইলও পায় দেশটি। সেই একই ধারায় অস্ত্র এখন পর্যন্ত ইউক্রেন পেয়ে যাচ্ছে। যদিও তার আসল সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে না। এই ঘাটতি পূরণ করতেই অস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ১৬ মার্চ হোয়াইট হাউজ ঘোষণা দেয় যে, তারা ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা বাবদ ৮০০ মিলিয়ন ডলারের সমরাস্ত্র দেবে। এ ছাড়া আরো ৮০০ স্টিঙ্গার এন্টি-এয়ারক্রাফট সিস্টেম এবং দুই হাজার জ্যাভেলিন এন্টি-ট্যাংক মিসাইল সিস্টেম প্রদানের ঘোষণাও আসে। যুক্তরাষ্ট্র স্টিঙ্গার উৎপাদন বন্ধ করে রেখেছিল। তবে যুদ্ধের জন্য আবারও এর উৎপাদন শুরু করছে দেশটি। কারখানাগুলোতে কর্মী নিয়োগ দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কী পরিমাণ মিসাইল উৎপাদন করা হবে সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেয়নি ওয়াশিংটন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com