ইমরান খানের কেবিনেটের অর্ধশত মন্ত্রী ‘আত্মগোপনে’

0

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির আগে তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অন্তত ৫০ জন মন্ত্রীকে রাজনৈতিক দৃশ্যপটে দেখা যাচ্ছে না।

এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। বিরোধী দলগুলো প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতা থেকে সরাতে তৎপর হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের এই মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

পিটিআইয়ের মন্ত্রীদের এই নীরবতা গুঞ্জনকে আরও উসকে দিচ্ছে। দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাদের অনুপস্থিতিতে এই বার্তা দিচ্ছে যে, তারা হয়ত বিকল্প কিছু ভাবছেন।

হয়ত সঠিক সময়ে মুখ খোলার অপেক্ষায় আছেন। অবশ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় এখনও ভালো সমর্থনই পাচ্ছেন ইমরান খান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি, তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী, জ্বালানি মন্ত্রী হাম্মাদ আজহার, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পারভেজ খট্টক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ বেশ জোরেশোরে ইমরান খানের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে আসছেন।

বিরোধী দলের আনা অনাস্থা প্রস্তাবটি শুক্রবার পার্লামেন্টে ওঠার কথা থাকলেও স্পিকার অধিবেশন মুলতবি করায় তা পিছিয়ে যায়। সেটি এখন সোমবার অধিবেশনে উপস্থাপন করা হবে এবং এর ওপর সাত দিন বিতর্কের পর চূড়ান্ত ভোটাভুটি হবে।

ইমরান খানের সরকারের জোটে থাকা তিনটি বড় শরিক দল ইঙ্গিত দিয়েছে, পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে তারা বিরোধী দলের পক্ষে থাকতে পারে, যা সরকারের পতন ঘটাতে যথেষ্ট।

বিরোধী নেতারা এমন দাবিও করেছেন যে, ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের ডজনখানেক সদস্যও অনাস্থার পক্ষে সমর্থন দিতে পারেন। দলটির অন্তত ডজনখানেক আইনপ্রণেতা মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে না পারার জন্য নেতার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

পাকিস্তানে কোনো প্রধানমন্ত্রীর পুরো মেয়াদ ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড নেই। ইমরান যদি আস্থা ভোটে উৎরাতে ব্যর্থ হন, সেই রেকর্ড আরও দীর্ঘায়িত হবে।

ক্রিকেট মাঠ থেকে রাজনীতিতে এসে প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া ইমরান অবশ্য পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখান করেছেন। তার দাবি, বিরোধীদের কর্মকাণ্ডে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com